নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১২ জুলাই, ২০২১ ৩:২০ : অপরাহ্ণ
রাজধানীর বাড্ডায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে জাল নোট তৈরির কারখানা শুরু করেন আব্দুর রহিম শেখ ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম। কারখানা থেকে মাসে তারা কোটি টাকার জাল নোট তৈরি করতেন। এই কারখানার সন্ধান পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশ। তাদের সাথে এই কর্মকাণ্ডে জড়িত আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১২ জুলাই) বাড্ডা থানার নুরেরচালা সাঈদ নগরে এলাকার ওই বাসাটিতে অভিযান চালিয়ে রহিম-ফাতেমাসহ পাঁচজনকে আটক করে গুলশান ডিবি পুলিশ।
আটককৃত অপর তিনজন হলেন-গার্মেন্টস ব্যবসায়ী হেলাল খান, আনোয়ার হোসেন ও ইসরাফিল আমিন।
ডিবি গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, নুরেরচালা সাঈদ নগরের একটি সাততলা বাড়ির ষষ্ঠতলায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমানের জাল টাকা তৈরির একটি ঘরোয়া কারখানা পাওয়া গেছে। এরপর জাল টাকা তৈরি এবং বিপণনের কাজে জড়িত এক নারীসহ পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় কারখানাটি থেকে এক হাজার টাকা ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের প্রায় ৪৩ লাখ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির প্রচুর পরিমাণ উপকরণ জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মূলত আব্দুর রহিম শেখ ও তার স্ত্রী ফাতেমা কারখানাটি পরিচালনা করতেন। বাকিরা তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে তারা কারখানায় জাল নোট ছাপানোর কার্যক্রম বাড়িয়ে দিয়েছিল। তার প্রতি মাসে কোটি কোটি জাল টাকা ছাপিয়ে মার্কেটে ছাড়তো।
মশিউর রহমান বলেন, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করে আসতো। ১ লাখ টাকা তারা বিক্রি করতো ১৪- ১৬ হাজার টাকায়। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে তাদের কার্যক্রম আরো বেড়ে যায়। গত গত তিন বছর ধরে তারা জাল নোট বাজারে ছেড়ে আসছে।
তিনি জানান, ফাতিমা বেগম ২০১৯ সালে হাতিরঝিল এলাকার একটি বাসায় জাল টাকার তৈরি করার সময় অপর সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল পুলিশের কাছে। তবে ওই সময় তার স্বামী রহিম পালিয়ে যায়।