নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১২ জুলাই, ২০২১ ৫:৫৭ : অপরাহ্ণ
গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১৩ হাজার ৭৮৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এটিই এখন পর্যন্ত দেশে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২২০ জনের।
আজ সোমবার (১২ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশে সর্বোচ্চ করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল গতকাল শনিবার (১১ জুলাই) ১১ হাজার ৮৭৪ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ হাজার ৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৪শতাংশ।
এ পর্যন্ত দেশে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৭ জনে। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৬৩৯ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ৬৪ জন। এছাড়া খুলনায় ৫৫, চট্টগ্রামে ৩৭, রাজশাহীতে ২৩, বরিশালে ৪, সিলেটে ৬, রংপুরে ১৮ এবং ময়মনসিংহে ১৩ জন মারা গেছেন। মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৪২ জন পুরুষ এবং ৭৮ জন নারী।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১২১ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪৬, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২৬, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৭ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের ৯ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ২০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট ৮ লাখ ৮১ জন ৫২১ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। এ বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরও বাড়িয়ে ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু দেশে এখন সংক্রমণ পরিস্থিতি এপ্রিলের মতো ভয়ংকর রূপ নিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ১ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন জারি করেছে সরকার।