নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১১ জুলাই, ২০২১ ৬:৩০ : অপরাহ্ণ
দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে এগোচ্ছে। ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল, সংক্রমণও ঊর্ধ্বমুখী। মৃত্যু আর শনাক্তের রেকর্ডে প্রতিদিনই দেশবাসীর মনে নতুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। আজ আবার ভেঙেছে মৃত্যু ও শনাক্তের আগের রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৮৭৪ জনের।
আজ রোববার (১১ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে দেশে শুক্রবার (৯ জুলাই) করোনায় সর্বোচ্চ ২১২ জনের মৃত্যু হয়। আর সর্বোচ্চ করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) ১১ হাজার ৬৫১ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ হাজার ৮৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
এ পর্যন্ত দেশে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জনে। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৪১৯ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৩০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ৫৬ জন। এছাড়া খুলনায় ৬৬, চট্টগ্রামে ৩৯, রাজশাহীতে ২৬, বরিশালে ৮, সিলেটে ৮, রংপুরে ২২ এবং ময়মনসিংহে ৫ জন মারা গেছেন। মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৩৩ জন পুরুষ এবং ৯৭ জন নারী।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১১১ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫১, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৪২, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৯ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের ৭ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৬২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট ৮ লাখ ৭৪ জন ৫০১ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। এ বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরও বাড়িয়ে ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু দেশে এখন সংক্রমণ পরিস্থিতি এপ্রিলের মতো ভয়ংকর রূপ নিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ১ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন জারি করেছে সরকার।