প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ প্রকাশের সময় :১০ জুলাই, ২০২১ ৩:২০ : অপরাহ্ণ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসেম ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহান শাহ আজাদসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে রূপগঞ্জ থানায় ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত অন্য আসামিরা হলেন-হাসিব বিন হাশেম, তারেক ইব্রাহীম, তাওসিব ইব্রাহীম, তানজীম ইব্রাহীম, উপ মহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদ, সিভিল ইঞ্জনিয়ার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন।
আজ শনিবার (১০ জুলাই) নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
জায়েদুল আলম বলেন, কারখানা তৈরি করা হলেও সেখানে জরুরি বহির্গমনের পর্যাপ্ত সিঁড়ি রাখা হয়নি। জরুরি সিঁড়ি রাখা হলে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটত না। এ কারণে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
এদিকে আজ দুপুর ২টার দিকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার জন্য কারও ন্যূনতম অবহেলা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আহত ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে এবং হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজের ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৫২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আজ শনিবারও কারখানাটির ভেতরে ধোঁয়া উড়তে দেখো গেছে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কারখানায় ২১ ঘণ্টা পর্যন্ত আগুনে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখছে একাধিক সংস্থা। এরই মধ্যে কারখানার ভেতরকার কলাপসিবল গেট বন্ধ, জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি না থাকা, কারখানার নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকা এবং প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকাকে চিহ্নিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। আগুনে পুড়ে কয়লা হওয়ায় ৫২ মরদেহ চেনার সুযোগ নেই। ডিএনএ টেস্ট ছাড়া শনাক্ত করা যাবে না মৃতদেহ। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের ২৫ হাজার ও আহতদের ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম বেপারী।