নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৮ জুলাই, ২০২১ ২:৩৫ : অপরাহ্ণ
দেশে করোনাভাইরাস ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করলেও মানুষকে ঘরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। মামলা, গ্রেপ্তার ও জরিমানা উপেক্ষা করে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়ে আসছে মানুষ। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউনের ৮ম দিনে আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানবাহন এবং মানুষের চলাচল আরও বেড়েছে। ফলে কঠোর লকডাউন ক্রমশ ঢিলেঢালা হয়ে যাচ্ছে।
করোনাভাইরাসে গত কয়েকদিনের আক্রান্তের পরিসংখ্যান দেশে মারাত্মক পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রতিদিনই ভাঙছে আগের দিনের রেকর্ড। কিন্তু এরপরও মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না প্রশাসন। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মানুষ কারণে-অকারণে ঘর থেকে বের হচ্ছে।
আজ সকালে রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, গুলশান, বাড্ডা, কুড়িল বিশ্বরোড, মৌচাক, মগবাজার, কাকরাইল, পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় দেখে গেছে, গণপরিবহন না চললেও আগের দিনগুলোর তুলনায় সড়কে মানুষ, রিকশা, যানবহন অনেক বেড়েছে। রাস্তায় মানুষের সংখ্যা লকডাউনের প্রথম সাতদিনের চেয়ে বেশি। মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ চলাচলও বেড়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ির দাপটে কোথাও কোথাও যানজট লেগে যায়। রিকশায় চড়েও অনেককে অফিস যেতে দেখা গেছে।
সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শ্যামলী সিনেমা হলের সামনে থেকে ক্রিসেন্ট লেক এর সিগন্যাল পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে। এই সড়কে রিকশা না চললেও ব্যক্তিগত যানবাহন এবং পণ্যবাহী যানবাহনের চাপে এই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। কতব্যরত ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছিলেন। কলাবাগানে পুলিশের চেকপোষ্টে জিজ্ঞাসাবাদের কারণে যানবাহনের লাইন দেখা গেছে। ধানমন্ডির আবাহনী মাঠ সংলগ্ন চেকপোস্ট থেকে শংকর বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা যানবাহন থামিয়ে বাইরে আসার কারণ জানতে লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
বিভিন্ন চেকপোস্টে দেখা যায়, ছোট-বড় প্রতিটি গাড়িকেতই চেকিংয়ের আওতায় আনা হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে যেতে দেওয়া হচ্ছে, অন্যথায় মামলা করা হচ্ছে। ফলে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে ওই রাস্তায়। শুধু গণভবন চেকপোস্টেই নয়, রাজধানীর রাসেল স্কয়ার, কল্যাণপুর ও গাবতলী চেকপোস্টেও একই অবস্থা দেখা গেছে।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন শুরু হয়। যা শেষ হওয়ার কথা ছিলো গতকাল বুধবার (৭ জুলাই) মধ্যরাতে। এরমধ্যে লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এই প্রেক্ষাপটে সরকার লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে।