নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৩ জুলাই, ২০২১ ৫:৫০ : অপরাহ্ণ
ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে আবার কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ‘অসুস্থতার কথা বলে’ তিনি প্রায় তিন মাস এই হাসপাতালের প্রিজন সেলে ছিলেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার জানিয়েছেন, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ রফিকুল আমীনকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর সেখান থেকে আজ শনিবার (৩ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে তাকে কারাগারে নিয়ে আসা হয়।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রফিকুল আমীনের একটি জুম মিটিংয়ে অংশ নেওয়া প্রায় এক ঘণ্টার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। জুম মিটিংয়ে তিনি ‘মিস্টার এ’ নামে রেজিস্ট্রি করেছেন। তার প্রোফাইল ছবিতে ইংরেজি বর্ণের বড় হাতের ‘R (আর)’ লেখা। ভিডিওতে তাকে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে তাকে কথা বলতে শোনা গেছে। তিনি ডেসটিনির মতোই নতুন আরেকটি এমএলএম ব্যবসার বিষয়ে আলোচনা করছেন। ইতোমধ্যে সেই ব্যবসা শুরুও করেছেন তিনি। ব্যবসার জন্য শিগগিরই ১৩০০ মার্কেটিং এজেন্ট নিয়োগের কথা বলেছেন।
রফিকুল আমীনের জুম মিটিংয়ে অংশ নেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে কারা কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের প্রিজন সেলে তার পাহারায় থাকা প্রধান কারারক্ষীসহ আটজনকে গত বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার করে নেয়। গতকাল ৪ প্রধান কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত ও ১৩ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি গ্রুপের এমডি রফিকুল আমীনের বিরুদ্ধে দুটি অর্থপাচার মামলা করে। এই মামলায় তাকে ২০১২ সালের অক্টোবরে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলায় গত বছর আদালত রফিকুলের তিন বছরের কারাদণ্ড দেন।
কারাগার সূত্র জানায়, রফিকুল আমীন একেক সময় একেক রোগের কথা বলে হাসপাতালের প্রিজন সেলে থেকেছেন। তিনি মূলত ঘুরেফিরে বিএসএমএমইউ ও বারডেম হাসপাতালে আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ সময় ছিলেন বিএসএমএমইউতে। তবে এবারের মতো একটানা এত লম্বা সময় তিনি এর আগে ছিলেন না। এর আগে সেখানে সর্বোচ্চ টানা দেড় মাস থেকেছেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১১ এপ্রিল তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএসএমএমইউর প্রিজন সেলে আসেন।