নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৩ জুলাই, ২০২১ ৭:০৮ : অপরাহ্ণ
টানা এক সপ্তাহ ধরে দেশে করোনায় শতাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ১৩৪ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে গতকালের তুলনায় করোনায় শনাক্তের হার কিছুটা কমেছে। ২২ হাজার ৬৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ২১৪ জন। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
আজ শনিবার (৩ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মারা যাওয়া ১৩৪ জনের মধ্যে ৩৯ জনই খুলনার। এছাড়া ঢাকায় ৩৮, চট্টগ্রামে ১১, রাজশাহীতে ২৩, বরিশালে ৩, সিলেটে ১, রংপুরে ১৫ এবং ময়মনসিংহে ৪ জন মারা গেছেন। মারা যাওয়াদের মধ্যে ৮৪ জন পুরুষ এবং ৫০ জন নারী।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৬৫ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৩০, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২৪, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১০, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৪ এবং ১১ থেকে ২০ বছরের ১ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ৩ হাজার ৭৭৭ জন।
এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৯১২ জনের আর করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ২৫৬ জনের। এ পর্যন্ত মোট ৮ লাখ ২৯ হাজার ১৯৯ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। এ বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরও বাড়িয়ে ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু দেশে এখন সংক্রমণ পরিস্থিতি এপ্রিলের মতো ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার।