শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা রাজধানী

শুরু হলো ‘কঠিনতম’ লকডাউন: নেমেছে ম্যাজিস্ট্রেট ও সেনাবাহিনী



নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১ জুলাই, ২০২১ ১০:৩০ : পূর্বাহ্ণ

রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে জেরা করছে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ। বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা। পণ্যবাহী পরিবহন, রিকশা ও কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া সব ধরনের যন্ত্রচালিত গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। খোলেনি মার্কেট ও দোকানপাট। বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছেন সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা। সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকায় সড়কে মানুষজনের চলাচল সীমিত রয়েছে। রাজধানীর সড়কগুলো অন্য দিনের তুলনায় বেশ ফাঁকা।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত সাতদিনের কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল থেকেই পাল্টে গেছে রাজধানীর চিত্র।

লকডাউন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট (ভ্রাম্যমাণ আদালত) পরিচালনার জন্য বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১০৬ জন কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

দেখা গেছে, জরুরি প্রয়োজনে যারা বের হয়েছেন তারা রিকশায় চড়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন। পণ্যবাহী যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। লকডাউনের মধ্যে যেসব অফিস খোলা রাখা হয়েছে, সেখানকার কর্মীদের বহনকারী স্টাফ বাস, দুই একটি প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ও রিকশা চলতে দেখা গেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, রিকশা ছাড়া কিছুই চলছে না। ব্যক্তিগত দুয়েকটি প্রাইভেট কার চললেও চেকপোস্টে পড়তে হচ্ছে পুলিশের জেরার মুখে। এছাড়া মোটরসাইকেলে দুজন বহন করলে পুলিশ তাদের নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। গ্রহণযোগ্য উত্তর দিতে না পারলে গুনতে হচ্ছে জরিমানা।

কঠোর লকডাউনের মধ্যে বিনা কারণে ঘর থেকে কেউ বাইরে বের হলেই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে এবং মামলা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

গতকাল বুধবার দুপুরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারা দেশে বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

প্রজ্ঞাপনে ২১টি শর্ত দিয়ে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে এবং শিল্প কারখানা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। উন্মুক্ত স্থানে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাঁচা বাজার ও নিত্যপণ্য কেনাবেচা করা যাবে।

এ ছাড়া শপিংমল, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধের পাশাপাশি সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সারা দেশে বিধিনিষেধ কার্যকরে সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়েন থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর