কঠোর লকডাউনের প্রথমদিন দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে গত ২৭ জুন দেশে একদিনে ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিলো। অতীতের রেকর্ড ভেঙে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৬৪৬ জনের।
আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত কিছুটা কমেছে। ৩২ হাজার ৫৫ জনের করোনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৩০১ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। এ পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯ লাখ ২১ হাজার ৫৫৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৪৩ জনের মধ্যে খুলনা বিভাগে ৪৬ জন, ঢাকা বিভাগে ৩৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন, বরিশাল বিভাগে ৮ জন, সিলেট বিভাগে ৭ এবং ময়মনসিংহে ৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ৯০ জন পুরুষ এবং ৫৩ জন নারী। দেশে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৫৯ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৭০ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪২, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৮, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১১, ১১ থেকে ২০ বছরের ১ এবং দশ বছরের নিচে ১ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৬৬৩ জন। আর এ পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থতার সংখ্যা ৮ লাখ ২০ হাজার ৯১৩ জন। সে হিসেবে দেশে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯.০৮ শতাংশ।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। এ বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরও বাড়িয়ে ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু দেশে এখন সংক্রমণ পরিস্থিতি এপ্রিলের মতো ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার।