নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১ জুলাই, ২০২১ ১:৩১ : অপরাহ্ণ
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ায় রাজধানীর কয়েকটি এলাকা থেকে ২৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলা হয়েছে ৫০ জনের নামে। রাজধানীর তেজগাঁও, শাহবাগ, রমনা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও গাবতলী এলাকা
থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় অনেককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সারা দেশে সাত দিনের কঠোর লকডাউনে বিধিনিষেধ মেনে চলা হচ্ছে কিনা তা যাচাই করতে পুলিশের মতো সেনাবাহিনী ও র্যাব বিভিন্ন মোড়ে তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল গণমাধ্যমকে জানান, তেজগাঁও থানায় ৩০ জন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ৮ জন, মোহাম্মদপুর থানায় ২৬ জন, আদাবর থানায় ১৮ জন, শেরেবাংলা নগর থানায় ৪৩ জন ও হাতিরঝিল থানায় ৪২ জনকে আটক করা হয়। অকারণে বাসা থেকে বের হওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার আ স ম মাহাতাবউদ্দিন জানান, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ না পেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের সাজা দেওয়া হবে।
সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মিরপুর, গাবতলী, টেকনিক্যাল, শাহআলী, পল্লবী, কাফরুল এলাকায় পুলিশ শতাধিক লোককে আটকের পাশাপাশি অর্ধশতাধিক যানবাহনকে মামলা দেয়। মিরপুরে দুজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চলছে পুলিশের অভিযান।
লকডাউনের প্রথমদিনে রাস্তাঘাট তেমন ফাঁকা ছিল না, তবে তুলনামূলকভাবে গাড়ির সংখ্যা কম ছিল। রাস্তায় কিছু মানুষকেও বের হতে দেখা গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ ছিল রাস্তায়।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। যা আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে মানুষের সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলে ২১টি শর্ত দিয়ে বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার।