নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৩০ জুন, ২০২১ ৫:৫০ : অপরাহ্ণ
দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) আরও ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনা শনাক্তের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। নতুন করে করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৮২২ জন। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ হাজার ১০৫ জনের। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ধরা পড়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এটাই ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চসংখ্যক রোগী শনাক্তের রেকর্ড।
আজ বুধবার (৩০ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত মোট নয় লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৫০৩ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১৫ জনের মধ্যে ১৭ জন ঢাকার। এছাড়া চট্টগ্রামে ২৩, রাজশাহীতে ২৩, খুলনায় ৩০, বরিশালে ২, সিলেটে ৩, রংপুরে ১১ এবং ময়মনসিংহে ৬ জন মারা গেছেন।
মারা যাওয়াদের মধ্যে ৭২ জন পুরুষ এবং ৪৩ জন নারী।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫৭ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২৫, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৭, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১২ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের ৪ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে চার হাজার ৫৫০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আট লাখ ১৬ হাজার ২৫০ জন করোনা থেকে সুস্থ হলো।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। এ বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরও বাড়িয়ে ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু দেশে এখন সংক্রমণ পরিস্থিতি এপ্রিলের মতো ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার।