ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘আমার পরিবার এই শহর তথা এ দেশের প্রায় ১ শতাব্দী যাবৎ আমরা মানুষের সেবা করে আসছি। আমরা যদি ব্যবসায় মনযোগ দিতাম, তাহলে এই পরিবার বাংলাদেশের শীর্ষ ধনীদের অন্যতম থাকতো। আমি যদি ব্যবসা-বাণিজ্য করতাম, এই শহরের অন্যতম ধনী হতে পারতাম।।’
আজ (২৯ জুন) মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গতকাল সোমবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন, তার মা ফাতেমা হানিফ, স্ত্রী ফারহানা আলম ও বোন শাহানা হানিফের আটটি ব্যাংক হিসাব স্থগিতের (ফ্রিজ) আদেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে আজ প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সাঈদ খোকন।
সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমার ও আমার পরিবারের আটটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে। আমার মায়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে। আমার বৃদ্ধ মা হয়রানির শিকার হয়েছেন। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও পরিতাপের বিষয়।’
তিনি অভিযোগ করেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের ‘প্ররোচনায়’ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই মামলা দায়ের করেছে।
সাবেক এ মেয়র বলেন, ‘সন্দেহের বশবর্তী হয়ে একজন সম্মানিত মানুষের সম্মান ক্ষুণ্ন করা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মো. হানিফের স্ত্রী লাঞ্ছিত হবেন, ঢাকাবাসী তা মেনে নেবে না। আমি আইনি মোকাবেলা করবো। সাথে সাথে ঢাকাবাসীকে নিয়ে প্রয়োজন হলে আরেকবার সংগ্রাম করবো।’
১৯৮৭ সালে তৎকালীন ৩৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন সাঈদ খোকন। পরে তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অবদানের কথা তুলে ধরে সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমি চরম সংগ্রামে রাজপথ ছেড়ে যাইনি। হামলার শিকার হয়েছি, মামলার শিকার হয়েছি, জেল খেটেছি এই শহরের মানুষের জন্য, আওয়ামী লীগের জন্যে, আমার নেত্রীর জন্যে। সেটা কি আজকে এই অবস্থা দেখবার জন্যে?’
তিনি বলেন, ‘কারও ব্যর্থতা ঢাকবার জন্য আরেকজনের মাথায় কালিমা লেপন করে দেবেন, আমরা এটা মেনে নিতে পারি না।’