দেশে টানা তিন দিন ধরে করোনাভাইরাসে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছে আরও ১১২ জন। গতকাল সোমবার মৃত্যু হয় ১০৪ জনের। এর আগে রোববার একদিনে সর্বোচ্চ ১১৯ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে করোনায় দেশে মোট ১৪ হাজার ৩৮৮ জনের মৃত্যু হলো।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ৬৬৬ জনের। এ পর্যন্ত দেশে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯ লাখ ৪ হাজার ৪৩৬ জনের।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১২ জনের মধ্যে ৩৫ জন খুলনার। এছাড়া ঢাকায় ২২, চট্টগ্রামে ১৬, রাজশাহীতে ২১, বরিশালে ৩, সিলেটে ১, রংপুরে ১০ এবং ময়মনসিংহে ৪ জন মারা গেছেন। মারা যাওয়াদের মধ্যে ৬৭ জন পুরুষ এবং ৪৫ জন নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬৫ টি ল্যাবে ৩১ হাজার ৯৮২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৬১ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২৪, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১০, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৪, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। এ বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরও বাড়িয়ে ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু দেশে এখন সংক্রমণ পরিস্থিতি এপ্রিলের মতো ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে ২৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সারাদেশে সীমিত পরিসরে বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। এরপর ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।