নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৮ জুন, ২০২১ ৫:৪৫ : অপরাহ্ণ
দেশে করোনাভাইরাসে একদিনে (রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) রেকর্ড সংখ্যক ৮ হাজার ৩৬৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। এরআগে গত ৭ এপ্রিল সাত হাজার ৬২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন আট লাখ ৯৬ হাজার ৭৭০ জন।
একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ১০৪ জন। এর আগে গতকাল ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে মোট মারা গেছেন ১৪ হাজার ২৭৬ জন।
সোমবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার ৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৮৬। এর আগে গতকাল শনাক্তের হার ছিল ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০৪ জনের মধ্যে ৬৮ জন পুরুষ এবং ৩৬ জন নারী। এদের মধ্যে ৩৫ জনই খুলনার। এছাড়া ঢাকায় ২৭ জন, চট্টগ্রামে ১৯, রাজশাহীতে ৭, বরিশালে ২, রংপুরে ৯ এবং ময়মনসিংহে ৫ জন মারা গেছেন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫৮ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২৩, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৪, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৪ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৫ জন মারা গেছেন।
এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ২৭৬ জন আর শনাক্ত হয়েছে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৬৭০ জন।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। এ বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরও বাড়িয়ে ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু দেশে এখন সংক্রমণ পরিস্থিতি এপ্রিলের মতো ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে ২৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সারাদেশে সীমিত পরিসরে বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। এরপর ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।