সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা রাজধানী

সেদিন রাতে বোট ক্লাব থেকে বনানী থানা পর্যন্ত কী হয়েছিল পরীমনির সাথে (ভিডিও)



নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৬ জুন, ২০২১ ১২:৪৫ : অপরাহ্ণ

জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। একটি গণমাধ্যমে এই ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে।

ঢাকা বোট ক্লাবের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ৯ জুন রাত ১২ টা ২২ মিনিটে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে একটি কালো গাড়ি দাঁড়ায়। গাড়িটি ছিল অমির। গাড়ির সামনের দরজা থেকে নামেন পরীমনি। পেছনের ডান পাশের দরজা দিয়ে বের হন গ্রেপ্তার হওয়া বোট ক্লাবের সদস্য অমি, পরীমনিরর কস্টিউম ডিজাইনার জিমি ও তার বোন বনি।

ক্লাবে ঢোকার সময় পরীমনি কালো টপস, জিন্সের প্যান্ট পরা ছিলেন। বনি লাল টপস, সঙ্গে জিন্সের প্যান্ট এবং জিমি কালো হাতাকাটা গেঞ্জি ও হাফ প্যান্ট পরা ছিলেন। অমির পরনে ছিল সাদা গেঞ্জি ও গ্যাবার্ডিনের প্যান্ট। শুধুমাত্র অমি ছাড়া বাকি সবাই মাস্ক পরে ক্লাবে প্রবেশ করেন।

রিসিপশনের ক্যামেরায় তাদের চারজনকে একসঙ্গে বারে ঢুকতে দেখা যায়। তখন রিসিপশন ডেস্কে ছিলেন দুইজন এবং ডেস্কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরও একজন স্টাফ।

দেড় ঘণ্টা পর রাত ২টায় রিসিপশনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, পরীমনিকে অচেতন অবস্থায় কোলে করে দৌড়ে বের হতে দেখা যায় জিমি ও একজন নিরাপত্তা প্রহরীকে। পেছনে দৌড়াচ্ছিলেন জিমির বোন বনি। তাদের পেছনে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে যাচ্ছিলেন অমি। গাড়িতে ওঠার সময় আঙুল তুলে সবাইকে ধমকের ইঙ্গিত দিতে দেখা গেছে অমিকে।

ক্লাবে অমির কালো গাড়িতে গেলেও পরীমনি ফিরেছেন সাদা রঙের একটি গাড়িতে।

বনানী থানার বাইরের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, রাত ৩টা ৫২ মিনিটে বনানী থানায় প্রবেশ করেন পরীমনি। ডিউটি অফিসারের রুমেও তাকে অসুস্থ দেখা যায়। পরীমনি ডিউটি অফিসারের রুমে গিয়ে তার বরাবর চেয়ারে বসেন এবং ঘটনার বর্ণনা দেন। তবে ডিউটি অফিসার তার কথা বুঝতে পারছিলেন না। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পুলিশ গাড়িতে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় পরীমনিকে।

ক্লাবের বারের ভেতরে সিসিটিভি ফুটেজ না থাকলেও জিমি তার মোবাইলে ১৬ সেকেন্ডের মতো একটি ধস্তাধস্তির ভিডিও করেছিলেন। এতে নাসিরকে হই-হুল্লোড়, ভাঙচুর ও পরীমনিকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে শোনা যায়। পরীমনির দাবি, জোর করে তাকে মদ পান করানো হয়েছিল।

সেদিনের রাতের ঘটনা সম্পর্কে ডিবি উত্তর বিভাগের যুগ্ম-কমিশনার হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, পরীমনিকে পরিকল্পিতভাবেই ঢাকা বোট ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলেন অমি। জিজ্ঞাসাবাদে পরিমনীকে নির্যাতনের কথা শিকার করেছেন নাসির। তারা দুইজনই পরীমনির গালে থাপ্পড় এবং মাটিতে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। মূলত তারা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ অমির গাড়িতেই পরীমনিকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। অমি না নিয়ে গেলে এমন ঘটনা নাও ঘটতে পারত।

গোয়েন্দারা বলছে, নাসির-অমির নারী ও মাদক কারবারে জড়িত টঙ্গীর নাজিম ও তুহিন। এ দুজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সোমবার পরীমনি সাভার থানায় নাসির ইউ মাহমুদ ও অমিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। এরপর ডিবি পুলিশ উত্তরার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় সেখান থেকে ইয়াবা, মদ উদ্ধার ও তিন নারীকে আটক করে পুলিশ। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নাসির ও অমিকে মঙ্গলবার ৭ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে থাকা তিন নারীকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

 

 

 

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর