নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৬ জুন, ২০২১ ৫:২৫ : অপরাহ্ণ
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। তবে এবার বিধিনিষেধে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার বিধিনিষেধের মধ্যে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত খোলা থাকবে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজন অনুযায়ী লকডাউন কার্যকরের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে আজ বুধবার (১৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এ নিয়ে দশম বারের মতো বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হলো।
এবারের প্রজ্ঞাপনে যা বলা হয়েছে-
উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন এলাকাগুলোর জেলা প্রশাসকগণ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটর সঙ্গে আলোচনা করে নিজ নিজ এলাকায় লকডাউন কার্যকরের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে।
সকল পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
আবাসিক হোটেল, রেস্তোরা, খাবারের দোকান সকাল ছয়টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয় করতে পারবে এবং আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা দিতে পারবে।
সব ধরণের গণ পরিবহন ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
এর আগে গত ৬ জুন বিধিনিষেধের মেয়াদ ১৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সেই হিসেবে আজ চলমান বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
দেশের প্রথম কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকে দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চলতি বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। সেটি পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এরপর থেকে বিভিন্ন শর্ত আরোপ ও শিথিল করে কখনো ৭ দিন কখনো ১০ দিন করে এ বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়াতে থাকে সরকার। সবশেষ বিধিনিষেধ ছিল ৩০ মে থেকে আজ ৬ জুন পর্যন্ত। আজ বিধিনিষেধ বাড়ানো হলো আরও এক মাসের জন্য।