বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আইন-আদালত

সম্পত্তি উইল বা অছিয়ত করার নিয়ম



এ এম জিয়া হাবীব আহসান প্রকাশের সময় :১৩ জুন, ২০২১ ১০:০১ : পূর্বাহ্ণ

জীবদ্দশায় কেউ যদি সম্পত্তি উইল বা অছিয়ত করে যেতে চান তার কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। এসব পদ্ধতিগুলোর নিয়মে কিছু জটিলতা ও শর্ত রয়েছে। সেসব কারণে অনেকেই মৃত্যুর আগে সম্পত্তি বিলিবণ্টন করেন না। অনেকে বিষয়গুলো জানেন না।

“উইল” বা “অছিয়ত” শব্দ দু’টি আমাদের সকলের কাছে খুবই পরিচিত। কিন্তু এর বিধি-বিধান না জানার কারণে দলিলটি অনেক সময় বাতিলযোগ্য হয়ে যায়।

অছিয়ত হলো এমন একটি দলিল, যা দ্বারা কোনো ব্যক্তি তার সম্পত্তির এমন বিলিব্যবস্থা করতে পারেন, যা উইলকারী বা অছিয়তকারীর মৃত্যুর পর কার্যকরযোগ্য।

কোনো ব্যক্তি তার মৃত্যুর পূর্বে তার সম্পত্তির মালিকানা বা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তার মৃত্যুর পর কার্যকর হবে এরুপ আইনসম্মত সিদ্ধান্তমূলক স্বাক্ষরিত দলিলকে “উইল” বা “অছিয়ত” বলে।

উইলকারীর মৃত্যুর পর “উইল” কার্যকর হয়; “উইল” কার্যকর করার ক্ষেত্রে বিজ্ঞ আদালত হতে “প্রবেট অব উইল” আহরণ করা বাঞ্ছনীয়। প্রবেট গ্রহণ না করা হলে অছিয়ত আদালতে গ্রাহ্য নাও হতে পারে।

অছিয়তের বর্ণনা মোতাবেক সম্পত্তি বন্টন বা পরিচালনার জন্য নিযুক্ত ব্যক্তিকে “অছি” বলা হয়।

“অছিকে” মুসলমান হতেই হবে, এইরুপ কোনও নিয়ম নেই। অছিয়তকারী খ্রীষ্টান, হিন্দু প্রভৃতি যাকে ইচ্ছা, তার অছিয়তের অছি নিযুক্ত করে যেতে পারেন।

অছিয়তকারীর মৃত্যুর সময় হতেই অছিয়তের সম্পত্তির দায়িত্ব অছির উপর অর্পিত হয়। হিন্দু আইনে ইচ্ছাপত্র প্রমাণক বা প্রবেট প্রাপ্তির জন্য উপযুক্ত আদালতে দরখাস্ত দাখিল করতে হয়।

সম্পদে যার বা যাদের কোনরুপ স্বার্থ নিহিত আছে তাদের সকলের উপর আইনত নোটিশ জারী করতে হয়। প্রবেট প্রাপ্তি সমন্ধে আপত্তি উত্থাপন হলে তা দেওয়ানী মামলায় পরিনত হয় এবং আদালতে প্রমাণ সাপেক্ষে প্রবেট দেয়া হয়।

১৮৯৭ সালের জেনারেল ক্লজেজ অ্যাক্টের ৩(৫৭) ধারায় উইলের সংজ্ঞা প্রদত্ত হয়েছে। সংজ্ঞাটি হলো “ইচ্ছাপত্র” বলতে কোন ক্রোড়পত্র এবং সম্পত্তির মরণোত্তর হস্তান্তরের স্বেচ্ছাকৃত প্রত্যেকটি লিখিত দলিলকে বুঝাবে। উক্ত সংজ্ঞানুাযায়ী মরনোত্তর সম্পত্তি বিলিবন্দোবস্তের স্বতঃস্ফূর্ত লিখিত ব্যবস্থাপত্রই হলো “উইল”।

হিন্দু ও মুসলিম ধর্মাবলম্বী ব্যক্তির উইলের মধ্যে পার্থক্য আছে। একজন হিন্দু তার যাবতীয় সম্পত্তি উইল করে যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে যেতে পারেন।

কিন্তু একজন মুসলমান “অছিয়ত” পূর্বক তার সমস্ত সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশের বেশী বন্টন করে যেতে পারে না। যে উইল করে তাকে “উইলকারী” এবং যার নামে উইল করা হয় তাকে “উইল-গ্রহীতা” বলা হয়।

উইল করার যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি
মুসলিম আইনে সম্পত্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে “উইল” একটি গুরুত্বপর্ণ স্থান দখল করে আছে। নাবালক নয়, এমন প্রত্যেক সুস্থ মস্তিষ্কের মুসলমানই “উইল” বা “অছিয়তের” মাধ্যমে সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারে।

কোনো নাবালকের ক্ষেত্রে যেখানে ওই নাবালক ও তার সম্পত্তি দেখাশোনার জন্য একজন অভিভাবক নিযুক্ত করা হয়েছে অথবা ওই নাবালকের ২১ বছর প‚র্ণ হলেই সে পূর্ণবয়স্ক হয়েছে বলে ধরা হবে।

মুসলমানদের ক্ষেত্রে নাবালকত্বের বয়স সীমাটি উইল, দানপত্র, ওয়াকফ ইত্যাদি বিষয়ে ১৮ বছর পূর্ণ হলেই চলে।

উইলের মূল বিষয়, হস্তান্তরটির ব্যাপারে দাতার পূর্ণ উপলব্ধি বা বুঝার ক্ষমতা। তবে দানের মতো উইলকারী যে ব্যক্তিদের ভরণপোষণ দিতে আইনগত বাধ্য ছিল তাদের জন্য ভরণপোষণের উপযুক্ত ব্যবস্থা করে বাকি সম্পত্তি উইল করতে পারবে। যেমন-

১. একজন বিবাহিত রমণী তার উপার্জিত সম্পত্তি উইল করতে পারে।

২. অন্ধ, বোবা ও বধির ব্যক্তি উইলের মর্ম অবগত হতে পারলেও উইল করতে পারবে না।

৩. সাময়িকভাবে অপ্রকৃতস্থ ব্যক্তি যখন সুস্থমনা থাকে তখন উইল করতে পারে।

৪. উইলের মর্ম চিররুগ্ন বা অসুস্থতার কারণে অবগত হতে অপারগ হলে কেউ উইল করতে পারবে না। উত্তরাধিকারিত্ব আইনের বিধান অনুসারে উইল প্রতারণা, বলপ্রয়োগের দ্বারা করা হলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। উইলকারী যেকোনো উইল রদ ও পরিবর্তন করতে পারেন এবং সর্বশেষ উইল কার্যকর বলে গণ্য হবে। উত্তরাধিকারিত্ব আইনানুসারে উইলটি অবশ্যই লিখিত দলিল দ্বারা হতে হবে এবং উইলকারী কমপক্ষে দুইজন সাক্ষীর সম্মুখে দলিলের সব বিষয় অবগত হয়ে তাতে স্বাক্ষর করবেন। দুইজন বা এর অধিক প্রত্যয়নকারী হিসেবে উইলে স্বাক্ষর করবেন।

উইলের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা
উইল করার ব্যাপারে ব্যতিক্রম ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেগুলো হলো-

১. মুসলিম আইন মোতাবেক একজন মুসলমান উইলকারী যেকোনো অনাত্মীয়কে তার সব সম্পত্তির মাত্র এক-তৃতীয়াংশ উইলপত্রের মাধ্যমে দান করতে পারে, কিন্তু এর অধিক উইল করতে পারে না।

২. উইলকারী তার কোনো উত্তরাধিকারীর নামে উইলের মাধ্যমে সম্পত্তি দান করতে পারে না। এরূপ দান আইনগত অগ্রাহ্য হবে।

৩. উইলকারী তার কোনো উত্তরাধিকারীর নামে উইলপত্রের মাধ্যমে কোনো সম্পত্তি দান করলে ম‚লত আইন সংগত হবে না বটে; কিন্তু উইলকারীর মৃত্যুর পর তার অন্যান্য উত্তরাধিকারী তা মেনে নিলে সংশ্লিষ্ট উইলটি আইনসিদ্ধ ও কার্যকরী হবে।

৪. একজন মুসলমান তার অন্যান্য উত্তরাধিকারীকে বঞ্চিত করে কেবল একজন উত্তরাধিকারীর বরাবরে উইল করতে পারে না।

৫. একজন উইলকারী শিয়া আইন মতে তার অন্যান্য উত্তরাধিকারীর অনুমতি বা সম্মতি ছাড়াই তার সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ তার যেকোনো উত্তরাধিকারীকে উইল হিসেবে দান করতে পারে; কিন্তু এক-তৃতীয়াংশের বেশি দান কার্যকরী করতে হলে উইলকারীর অন্যান্য উত্তরাধিকারীর অনুমতি বা সম্মতির প্রয়োজন হয়।

৬. উইলকারী তার মৃত্যুর সময় যদি কোনো অস্তিত্বহীন ব্যক্তির নামে উইল করে, তবে উক্ত উইল অবৈধ বলে গণ্য হবে। তবে উইল করার দিন হতে ছয় মাসের মধ্যে কোনো সন্তান ভ‚মিষ্ঠ হলে মাতৃগর্ভের সন্তানকে উইলের মাধ্যমে সম্পত্তি দান করে দিতে পারেন।

৭. উইলকারীর কোনো উত্তরাধিকারী না থাকলে তিনি তার সব সম্পত্তি যেকোনো অপরিচিত ব্যক্তিকে উইলের মাধ্যমে দান করে দিতে পারেন। মুসলিম আইনে বৈধ নয় এমন কোনো ক্ষেত্রে উইল করা যাবে না।

৮. কোনো মুসলমান শর্তসাপেক্ষে উইল করতে পারে না। শর্তসাপেক্ষে উইলের মাধ্যমে দান অবৈধ বলে গণ্য হবে।

৯. একজন উইলকারী ভবিষ্যতে পাবে এরূপ উইলপ‚র্বক দান করতে পারেন না এবং এরূপ দানও অবৈধ।

১০. এক-তৃতীয়াংশ সম্পত্তি উইলকারী কর্তৃক উইল করার পর বাকি দুই-তৃতীয়াংশ তার ওয়ারিশদের মধ্যে বণ্টন করা হয়।

১১. যেহেতু উইলকারীর মৃত্যুর পর উইল কার্যকরী হয়, সেহেতু উইলকারী তার জীবদ্দশায় যেকোনো সময় উইল রদ করতে পারেন।

উইল রদ-করণ
উইল বা অছিয়তনামা রদ করা যায়। উইলকারী তার জীবদ্দশায় উইল রদ বা বাতিল করতে পারে। বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে উইলকারী তার উইলপত্র রদ করতে পারেন। পদ্ধতিগুলো হলো-

১. উইলকারী তার কৃত উইল লিখিত বা মৌখিক ঘোষণার মাধ্যমে রদ বা প্রত্যাহার করতে পারে।

২. যদি উইলকারী উইলকৃত সম্পত্তিতে এমন কোনো কাজ করে, যার ফলে উক্ত সম্পত্তির পরিবর্তন সাধিত হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট উইলটি রদ হবে।

৩. উইলকৃত সম্পত্তিতে যদি উইলকারীর স্বত্বের অবসান ঘটে, তাহলে সংশ্লিষ্ট উইলটি স্বাভাবিকভাবেই রদ হয়ে যাবে।

৪. উইল-গ্রহীতার উদ্দেশ্যে যে সম্পত্তি উইল করা হয়, তা যদি উইলকারী উইল করার পর অন্যের কাছে দান বা বিক্রি করে দেয় তাহলে সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উইলটি রদ বা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে গণ্য হবে।

৫. উইলকারী আদালতের মাধ্যমেও তার কৃত উইল রদ বা প্রত্যাহার করতে পারবেন।

অছিয়তের প্রকৃতি
মুসলিম “অছিয়ত” কী ধরনের হবে, সে সম্পর্কে কোন বাঁধাধরা নিয়ম নেই। মুসলিম আইন অনুসারে “অছিয়ত” লিখিত হতে পারে, আবার অলিখিত বা মৌখিকও হতে পারে। এ সম্পর্কে একমাত্র অত্যাবশ্যক বিষয় হচ্ছে যে, অছিয়তকারীর ইচ্ছা। যা সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত এবং সঠিকভাবে নির্ণযোগ্য হতে হবে।

অছিয়ত লিখিত হয়ে থাকলেও তা স্বাক্ষরিত হওয়ার প্রয়োজন নেই এবং স্বক্ষরিত হয়ে থাকলেও তাতে সাক্ষ্যের দস্তখতের প্রয়োজন নেই। মৌখিক অছিয়ত সর্ম্পূণ রুপে বৈধ ও আইনসম্মত। তবে তা লিখিত হওয়া ভালো, নচেৎ প্রমাণ করা কষ্টকর।

মৌখিক অছিয়ত প্রমাণ করার দায়িত্ব অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ। স্থান, কাল, পাত্র প্রভূতি বিষয়সহ অছিয়তকারী প্রকৃত পক্ষে কি বলে গিয়েছেন, তা নিখুঁত, নির্ভুল ও সঠিকভাবে প্রমাণ করতে হবে।

ওয়ারিশদের অনুকূলে অছিয়ত
কোন মুসলমান তার ওয়ারিশের অনুকূলে অছিয়ত করে গেলে অন্যান্য ওয়ারিশগণ তাতে রাজী না হলে তা বৈধ বলে গণ্য হবে না। ওয়ারিশগণ একমাত্র অছিয়তকারীরর মৃত্যুর পর তাদের সম্মতি জানাতে পারে।

অজাত ব্যক্তি
অছিয়তকারীর মৃত্যুর সময় যার অস্তিত্ব ছিল না, সেরুপ কোন ব্যক্তির অনুকুলে অছিয়ত করা হয়ে থাকলে তা অবৈধ বলে গণ্য হবে। তবে যে শিশু মায়ের গর্ভে ছিল এবং অছিয়তের তারিখ হতে ছয় মাস সময়ের মধ্যে যার জন্ম হয়েছে তার অনুকুলে অছিয়ত করা হয়ে থাকলে তা বৈধ ও বলবৎ হবে।

অচল অছিয়ত
যার অনুকুল অছিয়ত করা হয়েছে, অছিয়তকারীর মৃত্যুর পূবেই তার মৃত্যু হলে অছিয়তটি অচল হয়ে যাবে।

অছিয়তের বিষয়
হস্তান্তরযোগ্য সম্পত্তি অছিয়ত করা যেতে পারে। অছিয়তের তারিখে কোন সম্পত্তির অস্তিত্ব না থাকলেও অছিয়তকারীর মৃত্যুকালে তা থাকলে অছিয়তের মর্ম অনুযায়ী তা বন্টিত হবে।

অছিয়তের শর্তাবলী
কোন মুসলমান যদি এইরুপ কোন অছিয়ত করে যান যে, একটি নিদির্ষ্ট ঘটনা ঘটলে তা বলবত হবে, অন্যথায় নহে, তা হলে সম্পূর্ণ অছিয়তটি অবৈধ বলে গণ্য হবে।

অছিয়ত প্রত্যাহর
অছিয়তকারী প্রত্যক্ষভাবে তার অছিয়ত প্রত্যাহার করতে পারে। এক খন্ড জমি অছিয়ত করা হয়ে থাকলে অছিয়তকারী পরে যদিও এর উপর একখানা বাসগৃহ নিমার্ণ করেন তা হলে অছিয়ত প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে।

উইল রেজিষ্ট্রারের নিকট জমা রাখা যায়

রেজিষ্ট্রেশান আইনের ৪২-৪৬ ধারায় উইলকারীকে বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত এজেন্টকে তার মৃত্যুর পূর্বে কোন উইলের দলিল খামে বন্ধ করে রেজিষ্ট্রারের নিকট জমা রাখার সুযোগ আছে।

উইলকারীর তার নাম, ঠিকানা এবং কি প্রকারের দলিল তা খামের উপর লিখে রাখবেন। সীলমোহরকৃত দলিলের বিষয়বস্তুটি উইলকারীর জীবনকাল পর্যন্ত অপ্রকাশিত থাকবে এবং তার মৃত্যুর পর উক্ত দলিলে উল্লেখিত শর্তে উইলটি কার্যকর হবে এবং এর কপি সংগ্রহ করা যাবে।

রেজিষ্ট্রার খামটি তার অগ্নিনিরোধক বাক্সে আবদ্ধ রাখবেন। উইলকারীর জীবদ্দশায় তা খোলা যাবে না। উইলকারীর মৃত্যুর পর রেজিষ্ট্রার সংশ্লিষ্টদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একজন বিচার বিভাগীয় অফিসারের উপস্থিতিতে তা খুলবেন এবং দাবিদারকে নোটিশ দেবেন।

নোটিশ পাওয়ার ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি উইলটি রেজিষ্ট্রি না করে তাহলে রেজিষ্ট্রার তা ধ্বংস করে ফেলবেন। রেজিস্ট্রেশন আইন (সর্বশেষ সংশোধিত) অনুযায়ী উইল, অছিয়ত, দান, হেবা ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে রেজিষ্ট্রি করা বাধ্যতামূলক।

কথিপয় নজির
একজন ব্যক্তি তার অনিদির্ষ্ট ও অজাত সন্তানের অনুকূলে উইল বা অছিয়ত করলে এবং উইলদাতার মৃত্যুর সময় ঐ সন্তানের অস্তিত্ব থাকলে উইলটি বৈধ হবে।৮ ডি, এল, আর ৮২ (প, পা)

উইলের সম্পত্তি উইলদাতা পরবর্তীকালে অন্য ব্যক্তিকে দান করলে উইলটি রদ হয়ে যাবে। ৮ ডি, এল, আর ৫৯ (এফ,সি)।

কোন পক্ষ অন্যায় প্রভাবের দাবী উত্থাপন করলে তা প্রমাণের দায়িত্ব উত্থাপনকারী পক্ষের। ১০ ডি,এল, আর ১৪৮ (এ, ডি)।

উত্তরাধিকারী নয় এমন ব্যক্তিকে পরবর্তী দান সমেত একজন উত্তরাধিকারীকে জীবিত স্বত্ব প্রদান কখন অবৈধ। ১২ ডি,এল,আর ২৪৪।

যখন একটি উইল বিবেচনার জন্য উপস্থাপিত হয়, তখন তা প্রমাণের ভার বিষয়ক প্রকৃতির সূত্রে বিধিবদ্ধ আইন মোতাবেক ইংলিশ রীতির মত ভারতে অনুসরিত হয় না। ১২ ডি, এল, আর ৭৮৮।

কাজের প্রকৃতি অনুধাবন করবার ক্ষমতাই হল প্রকৃত পরীক্ষা। ১৬ ডি, এল, আর ১৭৭ (এ,ডি)

কোন ব্যক্তিকে প্রভিডেন্ট তহবিল গ্রহণের জন্য মনোনয়ন প্রদান করে উইল করে দেওয়ার সমতুল্য নহে। ২০ ডি.এল,আর ২৩৯ (প,পা)

লেখক: ​আইনজীবী, কলামিষ্ট ও মানবাধিকারকর্মী।

আরও পড়ুন: শিক্ষিত ও ডিগ্রিধারীরা কতজন জমির কাগজপত্র বোঝেন?

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর