শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আঞ্চলিক রাজনীতি

কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬ (ভিডিও)



প্রতিনিধি, নোয়াখালী প্রকাশের সময় :১২ জুন, ২০২১ ২:২১ : অপরাহ্ণ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে বাদলের ছয় কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে  ৪৮ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে চরকাঁকড়া টেকের বাজারে বাদলের অনুসারীদের বিক্ষোভ চলাকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধদের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফখরুল ইসলাম সবুজ (৫৫) ও তার ছেলে তরিকুল ইসলাম চয়ন (১৮)। অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি।

গুরুতর আহত চয়নকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার চোখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলির চিহ্ন রয়েছে।

আজ শনিবার (১২ জুন) সকাল পৌনে ৯টার দিকে বসুরহাট বাজারের ইসলামী ব্যাংকের সামনে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় বাদলের শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম ও কানের একটি অংশ ছিড়ে যায়। তার গাড়ি ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বাদলের সাথে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাসিবুল হোসেন আলালকেও মারধর করা হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্জে বাদলের অনুসারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেন তারা। হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন ইউনিয়নে রাস্তায় ব্যারিকেড ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। এ সময় দুপুরে চরকাঁকড়া টেকের বাজারে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।

গুলিবিদ্ধ সবুজ জানান, তারা কাদের মির্জার গ্রেপ্তার দাবিতে আন্দোলন করার সময় পুলিশ বেপরোয়া গুলি চালায়। এতে তারা পিতা-পুত্রসহ অন্তত ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টেকের বাজারে হরতালের সমর্থনে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের গুলিতে বাদল সমর্থিত পিতা-পুত্রসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হন।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে ৩-৪ জন পুলিশ আহত হয়। পরে পুলিশ ২০-২৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর