নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১০ জুন, ২০২১ ৭:৩০ : অপরাহ্ণ
তেল, মাখন আর গাঁজার নির্যাসের মিশ্রণে তৈরি হচ্ছে বিশেষ ধরনের কেক, যার নাম ব্রাউনি। সাংকেতিক নাম ব্যবহার করে অনলাইনে চলছে এর কেনা-বেচা। তৈরি থেকে বিক্রিতে জড়িয়ে পড়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণদের একটি অংশ। ভোক্তাও তাদের বন্ধু-বান্ধবীরা। যা খেয়ে নেশার অন্ধকার জগতে হারিয়ে যাচ্ছে ধনীর দুলাল-দুলালীরা। ভয়ঙ্কর এই নেশার কেক বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকায়।
সারাবিশ্বে জনপ্রিয় ব্রাউনি কেকের আদলে তৈরি বিশেষ এই কেকটি জব্দ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। কারণ এটি খেলে গাঁজার নেশা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বাভাবিক কেক তৈরিতে যে সব উপাদান লাগে তার সবই রয়েছে এতে। বাড়তি হিসেবে মেশানো হয়েছে তেল, মাখন আর সেদ্ধ গাঁজার নির্যাস। নামও দেয়া হয়েছে জনপ্রিয় কেকের নামেই- ব্রাউনি। দীর্ঘদিন ধরে উচ্চবিত্তদের জন্মদিন কিংবা পার্টিতে ব্যবহার হচ্ছে এই মাদক।
সম্প্রতি আইস ও এলএসডি মাদকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। দু’জনই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। গ্রেপ্তার দু’জনের কাছ থেকে সাড়ে তিন কেজি ওজনের গাঁজার কেক জব্দ করেছেন গোয়েন্দারা। অনলাইনে গোপন গ্রুপ খুলে ফালি হিসেবে এই মাদক বিক্রি করছিল তারা। একফালি ব্রাউনির দাম তিন হাজার থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত।
রমনা বিভাগের (গোয়েন্দা) উপ-কমিশনার এইচ এম আজিজুল হক বলেন, যাদের আমরা আটক করেছি, তারা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাদের রান্নাঘরে এটা তৈরি হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দামি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানলাম, একেকটা ব্রাউনি তিন হাজার থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। ঢাকা শহরে যে পার্টি কালচার শুরু হয়েছে, এতে এই ব্রাউনি জনপ্রিয় একটি মাদক।
গোয়েন্দারা বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা গ্রুপে সাংকেতিক নামে বিক্রি করা এই মাদকের মূল ক্রেতা ধনী পরিবারের তরুণ-তরুণীরা।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা এইচ এম আজিজুল হক বলেন, এটা অনেকটা এলএসডি’র মতোই। ইন্টারনেট নির্ভর তাদের গ্রুপ আছে। এসব গ্রুপে যোগাযোগের মাধ্যমে এটার কেনা-বেচা হয়।
গাঁজার কেকের অন্য ব্যবসায়ী এবং বিশেষ এই মাদকের ভোক্তাদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।