প্রকাশের সময় :১০ জুন, ২০২১ ১১:৫০ : অপরাহ্ণ
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাংসদ জাফর আলমকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও নৌকার মনোনীত প্রার্থী আলমগীর চৌধুরীসহ তার কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে জাহেদুল ইসলাম লিটুকে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় তাদের অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সরওয়ার উদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক মুসলেহ উদ্দিন মানিককে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান রাজনীতি সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনের সিডিউল ছিল ২১ জুন। কিন্তু করোনার মহামারি ফের বেড়ে যাওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশন ১০ জুন চকরিয়া পৌরসভাসহ সারাদেশে অধিকাংশ নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে।
এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ৮ জুন রাতে পৌরসভার চিংড়ি চত্বর এলাকায় চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ জাফর আলমের নেতৃত্বে দলীয় নৌকা প্রতীকে মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে নৌকা প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মেয়র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যাচাই-বাছাই করে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। মনোনয়ন পেয়ে চকরিয়া আসার পর থেকে সংসদ সদস্য জাফর আলম ও তার অনুগত দলীয় কর্মীরা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তার ভাতিজা জিয়াবুল হকের পক্ষে কাজ করেন এবং নৌকার পক্ষে কাজ করা নেতা-কর্মীদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিতে থাকেন।
আলমগীর চৌধুরী বলেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার পথে পৌরসভার চিংড়ি চত্বরে এমপি জাফরের নেতৃত্বে জাহেদুল ইসলাম লিটু ও হাসানুল ইসলাম আদরসহ অস্ত্রধারী লোকজন নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুর চালায়। হামলায় তিনি ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরীসহ ৮/১০জন নেতা-কর্মী আহত হন।