নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৭ জুন, ২০২১ ৫:০১ : অপরাহ্ণ
বিএনপি যখন মনে করবে সময় এসেছে, তখনই আন্দোলনের ডাক দেবে-একথা বলেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার (৭ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
ছাত্র ও শ্রমিকদের গণআন্দোলনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আগে ছাত্র এবং শ্রমিক যে কোন আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতো। আমরা যেটাকে বলি ভ্যানগার্ড, তারা এখন কোথায়? এখন অপেক্ষা করতে থাকে বিএনপি কবে মিটিং করবে। তাতে হবে না, বিএনপিকে মিটিং করতে বাধ্য করবে তারা। এটাই বরাবর হয়েছে। তরুণরা ভাষা আন্দোলনের সময় সবাইকে টেনে নিয়ে এসেছে। আজকেও ছাত্রদের, শ্রমিকদেরকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। তা না হলে আমরা সবাই যেটা চাচ্ছি যে গণআন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সরকার পরাজিত হবে। এই গণআন্দোলন কারা করবে, তরুণ প্রজন্মকেই করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার জনগণের সরকার না। তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারতো না। এ সরকার মিডিয়া, বিচারব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করেই ক্ষমতায় এসেছে।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন এ সরকারের আজ্ঞাবহ। এ কমিশনের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এ কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছা আর বিএনপির নেই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তি হয়েছিল। এই সরকার যদি শাহেদ করিমকে গ্রেপ্তার করতে পারে তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কেন বিচারের আওতায় আনলো না?
বিএনপি মহাসচিব বলেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় এ সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। জনগণকে টিকা দেওয়ার বিষয়ে সরকারের কোনো স্বদিচ্ছাই নেই। তারা ক্ষমতায় বসে আছে শুধু দুর্নীতি করে কানাডায় বাড়ি করতে।
জিয়াউর রহমানের অবদান স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যখন কেউ সাহস করেনি তখন মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে এ জাতিকে স্বাধীনতার স্বাদ পাইয়ে দিয়েছিলেন। আবার ৭৫-এ দেশ যখন দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনায় ডুবে গিয়েছিল তখন আবার ত্রাণ কর্তার ভূমিকায় ক্ষমতায় এসেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এ সরকার এসব সত্য নতুন প্রজন্মকে জানতে দিতে চায় না, এজন্য তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করতে চায়।
ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুণ আল রশিদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ডা. মাজারুল ইসলাম দোলন, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. আবু হেনা ও ডা. আবুল হাসান।