শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

করোনাভাইরাসের ৮০ শতাংশই ভারতীয় ধরন, অজানা একটি ধরনও শনাক্ত


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৪ জুন, ২০২১ ২:৫২ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) মোট ৫০টি করোনার নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছে। এর মধ্যে ৪০টি নমুনায় ডেল্টা, অর্থাৎ ভারতীয় ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের অজানা একটি ধরনও শনাক্ত হয়েছে।

আইইডিসিআরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, নিয়মিত ভিত্তিতে কোভিড-১৯-এর সংক্রমিত এলাকাগুলোতে আক্রান্ত রোগীদের কেস ইনভেস্টিগেশন, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং ও সন্দেহজনক রোগীদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করছে আইইডিসিআর। গত ১৬ মে থেকে এখন পর্যন্ত ৫০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করেছে। এ সব নমুনার মধ্যে ৪০টি (৮০ শতাংশ) নমুনায় ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট (ভারতীয় ধরন) পাওয়া গেছে।

এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানান, আটটি (১৬ শতাংশ) নমুনায় বিটা ভ্যারিয়্যান্ট (দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন) শনাক্ত হয়েছে। আর একটি অজানা ধরনও পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, দেশে গত ৮ মে প্রথম ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়।

দেশের যেসব জায়গা থেকে নমুনা নেয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, ঢাকা, গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং খুলনা। এর মধ্যে ভারতীয় ধরন সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গোপালগঞ্জ এবং খুলনায়।

আইইডিসিআর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে সংগ্রহ করা ১৬টি নমুনার মধ্যে ১৫টিই ছিল ভারতীয় ধরন।

এই গবেষণার ভিত্তিতে আইইডিসিআর বলেছে, বাংলাদেশে কোভিড ১৯-এর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের (ভারতীয় ধরন) কমিউনিটি সংক্রমণ বিদ্যমান।

গোপালগঞ্জ জেলা থেকে সংগ্রহ করা সাতটি নমুনার মধ্যে সবগুলোই ছিল ভারতীয় ধরন। খুলনা শহর থেকে তিনটি নমুনার মধ্যে সবগুলোই ভারতীয় ধরন। এছাড়া ঢাকা শহরের চারটি নমুনার মধ্যে দুইটি ভারতীয় ধরন।

আইইডিসিআর জানিয়েছে, যাদের মধ্যে ভারতীয় ধরন সনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে আটজন ভারতে ভ্রমণ করেছে। এছাড়া ১৮ জনের বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার ইতিহাস আছে।

তবে ১৪ জনের দেশের বাইরে ভ্রমণ অথবা বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কোন ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ভারতীয় ধরনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে তিনজনের (৭ শতাংশ) বয়স অনূর্ধ্ব ১০ বছর, সাতজনের (১৮ শতাংশ) বয়স ১০ থেকে ২০ বছর, ১০ জনের (২৫ শতাংশ) বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর, আটজনের (২০ শতাংশ) বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর ও চারজনের (১০ শতাংশ) বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব। এদের মধ্যে ২৪ জন (৬০ শতাংশ) রোগী পুরুষ।

সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে আইইডিসিআরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের হার দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাসহ অন্যান্য জেলায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংক্রমণের হার হ্রাস করার লক্ষ্যে এবং দেশে ভারতীয় ধরনসহ করোনার অন্যান্য ধরন রোধে আইইডিসিআর সব জনসাধারণকে সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করছে।’

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর