শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর ৪ খুনির মুক্তিযুদ্ধের খেতাব-পদক বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত


নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২ জুন, ২০২১ ১২:১০ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চার খুনির মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পাওয়া বীরত্বের খেতাব, পদক ও সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এই সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে তিনি।

বুধবার (২ জুন) সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

যে ৪ খুনির রাষ্ট্রীয় পদক বাতিল করা হবে তারা হলেন-শরীফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও এবিএমএইচ নূর চৌধুরী।

শিগগিরই এ বিষয়ে গেজেট জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন মোজাম্মেল হক।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে চার খুনির মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পাওয়া বীরত্বের খেতাব বাতিল করা হয়।

জাতির পিতাকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই চারজনের খেতাব বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাশ রিট আবেদন করেন। তার রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ও গেজেটে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধুর পলাতক ছয় খুনির অন্যতম নূর চৌধুরীর নামের সঙ্গে ‘বীর বিক্রম’, শরিফুল হক ডালিমের নামের সঙ্গে ‘বীর উত্তম’, রাশেদ চৌধুরীর নামের সঙ্গে ‘বীর প্রতীক’ ও মোসলেহ উদ্দিন খানের নামের সঙ্গে ‘বীর প্রতীক’ উপাধি রয়েছে।

এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত চার খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সুপারিশ করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেওয়া হয়। এছাড়া শরিফুল হক ডালিম ‘বীর উত্তম’, নূর চৌধুরী ‘বীর বিক্রম’, রাশেদ চৌধুরী ‘বীর প্রতীক’ ও মোসলেহ উদ্দিন ‘বীর প্রতীক’ খেতাব পান। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই খুনের নেপথ্যে রয়েছেন জিয়াউর রহমান।

১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ওই চারজনসহ মোট ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে ঢাকার দায়রা জজ আদালত। ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল বিভাগ সেই মামলার চূড়ান্ত রায় দেয়। তবে ২০১৫ সালের ১১ আগস্ট সবশেষ এ তালিকা হালনাগাদ করা হলেও সেখানে খুনিদের নাম থেকে যায়।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর