শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা অন্যান্য দল

৫৪ নেতা-কর্মীর মুক্তি দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে জাফরুল্লাহ-সাকি-নুর



নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৩১ মে, ২০২১ ৩:৩০ : অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫৪ নেতা-কর্মীকে মুক্তি দেওয়ার দাবিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে স্মারকলিপি দিতে গেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছাত্র অধিকার ও যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সেখানে গেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিও।

আজ সোমবার (৩১ মে) দুপুর সোয়া ১টার দিকে তারা সুপ্রিম কোর্টের মাজার ফটকে পৌঁছান। স্মারকলিপি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জোনায়েদ সাকি ও নূরসহ নেতা-কর্মীরা ফটকে অবস্থান নেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়। এরপর তারা রেজিস্ট্রারের সাথে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি দেন।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে আন্দোলন করার সময় গ্রেপ্তার হয়েছিল ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫৪ নেতা-কর্মী। এরপর তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।

এর আগে আজ দুপুরে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে গ্রেপ্তার ৫৪ নেতা-কর্মীর অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে সমাবেশ থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্ররা দিনের আলো সবচেয়ে আগে দেখতে পান। তাই যখন নরেন্দ্র মোদী এ দেশে এসেছিল ছাত্ররা তার প্রতিবাদ করেছিল। তারা সঠিক কাজটিই করেছে। তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পারছেন না তিনি কি ভুল করছেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জাতিকে একত্রিতভাবে উন্নয়নের পথে আসতে। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে আমি কতবার বলেছি সবাইকে একসঙ্গে ডাকেন। আপনি ডাকেননি, কারণ আপনি আমাদেরকে ভয় পান। আপনি আমাদের না, সত্যকে ভয় পান। আহ্বান যেহেতু করেছেন, এবার সেটা কার্যকর করে দেখান। সকল বিরোধী দলকে ডাকেন।’

সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন। একটা জাতিকে ধ্বংস করতে হলে তার শিক্ষাকে ধ্বংস করতে হয়। প্রয়োজন হলে স্কুল-কলেজে ২-৩ শিফ্ট চালু করতে হবে। এটা না করলে জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে, জাতি সিকিমে পরিণত হবে। তার জন্য দায়ী হবেন আপনি।’

সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পাটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, রাষ্ট্র চিন্তার সদস্য রাহুল রাহা, গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা সাদেক খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজার রহমান ইরান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, ডাকসুর ভিপি নূরল হক নূর প্রমুখ।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর