প্রতিনিধি, সিলেট প্রকাশের সময় :৩০ মে, ২০২১ ২:৪৫ : অপরাহ্ণ
সিলেটে দফায় দফায় ভূমিকম্পে দু’টি ৬ তলা বহুতল ভবন হেলে পড়েছে। সিলেট নগরীর পাঠানটুলা দর্জিবাড়ি মোহনা আবাসিক এলাকার বি ব্লকে এই ঘটনা ঘটে। এই অবস্থায় দু’টি ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৯ মে) রাতে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ নির্দেশ দেন। ভূমিকম্পের ফলে দুটি ৬ তলা ভবন একটি অপরটির দিকে অন্তত দুই ফুট হেলে পড়ে।
আজ রোববার (৩০ মে) দুপুরে দমকল বাহিনীর একটি দল পাঠানটুলার ওই দুটি ভবন পরিদর্শন করে।
সিলেটে আজ রোববারও ভোর ৪টা ৩৫ মিনিট ৭ সেকেন্ডে ২ দশমিক ৮ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়। এতে সিলেটজুড়ে আতঙ্ক দেখা দেয়। এটির উৎপত্তিস্থলও সিলেটের জৈন্তাপুর বর্ডার এলাকায়।
এর আগে গতকাল শনিবার দুপুর বেলা ১টা ৫৮ মিনিটে সর্বশেষ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে প্রবল ঝাঁকুনিতে কেঁপে ওঠে সিলেট। এ ছাড়া গতকাল সকাল ১০ টা ৩৬ মিনিট, ১০টা ৫০ মিনিট, বেলা সাড়ে ১১টা ও ১১টা ৩৪ মিনিটে সিলেটে ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের সর্বোচ্চ মাত্রা ৪ দশমিক ১ ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক শূন্য। দ্বিতীয় ঝাঁকুনি ছিল সকাল ১০টা ৫০ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে। রিখটার স্কেলের এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। বেলা ১১টা ২৯ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে ২ দশমিক ৮ মাত্রা ও দুপুর ১টা ৫৮ মিনিটে ৪ মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রত্যেকটিরই উৎপত্তিস্থল সিলেটের আশপাশে। ঢাকা থেকে উত্তর-পূর্বে এর অবস্থান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ছোট ছোট ভূমিকম্পের পর বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে। আর বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সিলেট। এ জন্য সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তাঁরা।
এদিকে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় দুর্যোগ বিশেষ সেল গঠন করেছে নগর কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, আবহাওয়াসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমন্বয়ে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।