নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৯ মে, ২০২১ ৫:০৫ : অপরাহ্ণ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়। তিনি সব সংকটে দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের ময়দানে বীরোচিত ভূমিকা এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে তার অনবদ্য অবদানের কথা আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।’
আজ শনিবার (২৯ মে) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করেন। উৎপাদনের রাজনীতির মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করেন। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির অবস্থা থেকে খাদ্য রপ্তানিকারক দেশে পরিণত করেন। আধুনিক ও স্বনির্ভর দেশ গঠনের পদক্ষেপ নেন। এই মহান জাতীয়তাবাদী নেতার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা কখনোই মেনে নিতে পারেনি। এই চক্রান্তকারীরা ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। এই মর্মান্তিক ঘটনার মধ্যদিয়ে একজন মহান দেশপ্রেমিককে দেশবাসী হারায়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘চক্রান্তকারীরা ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ককে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে যতই চেষ্টা করুক না কেন, তিনি বিস্মৃত হননি। বরং দেশের জনগণের হৃদয়ে চিরজাগরুক হয়ে আছেন, থাকবেন। জাতীয় জীবনের চলমান সংকটে শহীদ জিয়ার প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থ, বহুমাত্রিক গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষায় ইস্পাতকঠিন গণঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশে একদলীয় শাসন পুনরায় প্রতিষ্ঠা করেছে। কর্তৃত্ববাদী শাসনের নির্মমতা চারদিকে বিদ্যমান। বিরোধীদলের অধিকার, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করে বর্তমান সরকার। সেজন্য গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। এখনও তিনি কার্যত বন্দি। অসুস্থ হয়ে তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন। তাঁর মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী চলছে অজ্ঞাত দানব করোনা মহামারির তাণ্ডব। আমাদের সবাইকে এ সম্পর্কে সচেতন থেকে করোনার হাত থেকে বাঁচতে আজ শহীদ জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের নিকট পানাহ চাই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রণাঙ্গনের অনন্য মুক্তিযোদ্ধা, নির্ভীক, নির্মোহ রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী শক্তির ক্রমাগত বিদ্বেষপূর্ণ আক্রমণের পটভূমিতে তাঁর অম্লান স্মৃতিকে বুকে ধারণ করে এবার ৩০ মে মহান নেতার শাহাদাতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করতে দল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সব স্তরের জনগণের প্রতি আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’