প্রতিনিধি, নোয়াখালী প্রকাশের সময় :২৯ মে, ২০২১ ১০:০১ : অপরাহ্ণ
নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বের জের ধরে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের গুলিতে কাদের মির্জার আট অনুসারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আজ শনিবার (২৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন-পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন (৪৭), ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ জিসান (২৩), সামছুল হকের ছেলে মো. সবুজ (৪০), আবদুল লতিফ দুলালের ছেলে রুহুল আমিন সানি (৩০), মোস্তফা মেস্তরীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮), পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এনামুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন সুমন (২৭), চরকাঁকড়ার মোশারেফ হোসেনের ছেলে দিদার (৩৫), মৃত মোস্তফার ছেলে মাঈন উদ্দিন কাঞ্চন (৪২)।
তাদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যা থেকে কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে ও বসুরহাট পৌরসভার প্রত্যেক ওয়ার্ডে কাদের মির্জার অনুসারীরা তার পক্ষে মিছিল করে। বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাদের মির্জার অনুসারীরা সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিছিল করতে গেলে প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকরাও মিছিল বের করে। প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলিতে কাদের মির্জার আট অনুসারী গুলিবিদ্ধ হয়। তবে প্রতিপক্ষ বাদল অনুসারী কারো আহত হওয়ার খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাদের মির্জার অনুসারীরা মিছিল করতে চাইলে প্রতিপক্ষরা গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সংঘর্ষে আটজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুলিবিদ্ধরা কাদের মির্জার অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ তারই ভাগ্নে মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু দাবি করেন, কাদের মির্জার লোকজন মিছিল করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।