নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৭ মে, ২০২১ ১১:৩০ : পূর্বাহ্ণ
লাল ডাক বাক্স, তবে এটি চিঠি ফেলার জন্য নয়। নির্মাণ করা হয়েছে ডাক বিভাগের নতুন সদর দফতর হিসেবে। দেশে প্রথম কোনো ভবন নির্মাণ করা হলো এমন নান্দনিক ডিজাইনে, যা চিঠি ফেলার বাক্সের আদলে। ফলে গুলিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ঢাকার প্রাচীনতম জিপিও। নতুন সদর দফতর হবে রাজধানীর আগারগাঁও।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত নান্দনিক এই ভবনটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে নতুন ডাকটিকিটও উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
ঢাকা জিপিও প্রায় ৬০ বছরের পুরনো হয়ে যাওয়ায় ভবনটির ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ সম্ভব নয়। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় দাপ্তরিক কর্মপরিবেশ ও গতিশীলতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছিল। এ অবস্থায় ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর হিসেবে একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ও নান্দনিক স্বতন্ত্র ডাক ভবন স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর ২০১৮ সালের ২০ মার্চ একনেক সভায় ডাক ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। পৌনে এক একর জায়গার ওপর ৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ডাক বিভাগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভবনটি তৈরি করা হয়েছে।
লাল টুকটুকে ১৪ তলা এ ভবনে রয়েছে দুটি বেজমেন্ট। থাকছে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটরিয়াম, ক্যাফেটরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিক্যাল সুবিধা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধা। এছাড়া থাকছে বঙ্গবন্ধু কর্নার, মুক্তিযুদ্ধে বীর সন্তানদের কীর্তিগাথা ইতিহাস।
১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর তারিখে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তৎকালীন ঢাকা জিপিও ভবনের কয়েকটি কক্ষ নিয়ে ডাক অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু হয়। তীব্র স্থান সংকটের মধ্যে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত ঢাকা জিপিওভবন এর তৃতীয় তলায় ডাক অধিদপ্তরের প্রশাসনিক সদর দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের নতুন দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা ডাক বিভাগের কর্মীদের নতুন করে উজ্জীবিত করবে। এর মধ্য দিয়ে হারিয়ে যাওয়া গতি ফিরবে ডাক বিভাগের।