শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা চট্ট-মেট্টো

চট্টগ্রামে রহস্যজনক আগুনে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ



নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৭ মে, ২০২১ ১:৫০ : অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন ফ্রি-পোর্ট কলসী দিঘীর পাড় এলাকায় একটি বাসায় আগুন লেগে পরিবারের পাঁচ সদস্য অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। গতকাল বুধবার (২৬ মে) রাত পৌনে দুইটার দিকে কলসী দিঘির পাড়ের হাজী ইমাম সাহেব কলোনিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

অগ্নিদগ্ধরা হলেন-মো. রায়েল (৩০) ও তার স্ত্রী নাজু (২৮), ভাই শিপন (৩০) এবং মেয়ে লামিয়া (৩) ও ছেলে জিহাদ (৬)।  তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যাওয়া বন্দর থানার এসআই দীপক দেওয়ান রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে এটিকে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে।’

চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান রফিক উদ্দিন আহমদ রাজনীতি সংবাদকে জানান, রায়েল ও তার স্ত্রী নাজুর শরীরের ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা গুরুতর। তাদের দুই শিশুর শরীরের ১০-১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তবে তারা আশঙ্কামুক্ত।

আগুনের উৎস রহস্যজনক!
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কলসী দিঘির পাড়ের হাজী ইমাম সাহেব কলোনির তিন তলা ভবনের নিচ তলায় একটি কক্ষে থাকতেন রায়েল, তার স্ত্রী নাজু ও তাদের দুই সন্তান। অপর একটি কক্ষে থাকতেন নাজুর ভাই শিপন। রাতে যখন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে, তখন তারা সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুন লাগার পর প্রতিবেশিরা বাসার দরজা ভেঙ্গে তাদের দগ্ধ অবস্থায় বের করে আনেন। আগুনে বাসার কাপড়চোপড়, তোষকসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে যায়।

প্রতিবেশীরা সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ধারণা করলেও বাসায় অক্ষত অবস্থায় রয়েছে তাদের ব্যবহৃত সিলিন্ডার। প্রতিবেশীদের অনেকে বলছেন, মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। কিন্তু অগ্নিদগ্ধ রায়েল পুলিশকে জানিয়েছেন, তারা বাসায় কয়েল ব্যবহার করতেন না।

তাহলে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো?
বন্দর থানার এসআই দীপক দেওয়ান রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘আগুন লাগার ঘটনাটা রহস্যজনক। কারণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, ওই বাসায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়নি, অগ্নিকান্ডের পর সেটি অক্ষত অবস্থায় দেখেছি। মশার কয়েল থেকেও আগুন লাগেনি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা মশার কয়েল ব্যবহার করতেন না। এখন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে কিনা তা তদন্ত করে দেখতে হবে।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর