নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৫ মে, ২০২১ ১০:৩৫ : পূর্বাহ্ণ
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ইয়াস কিছুটা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ছয় ঘন্টায় ঘূর্ণিঝড়টি নয় কিলোমিটার গতিতে এগিয়েছে এবং এটি আরো শক্তি সঞ্চয় করবে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস।
তিনি জানান, এই ঘূর্ণিঝড়ের পুরো গতিপথ ভারতের উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গের দিকে। উপকূলে আসার পর ভারতের দিকে যাওয়ার পথে বাংলাদেশের খুলনা এবং সাতক্ষীরা উপকূলে কিছু বৃষ্টিপাত হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল ছয়টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৫২০ কিলোমিটার, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫১৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার। এটি দমকা বাতাস হিসেবে ১২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের গতিপথের চিত্র প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। সেখানে দেখা গেছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দুপুর বা বিকেলের মধ্যেই ক্যাটাগরি ১ মাত্রার শক্তিশালী ঝড়ে পরিণত হতে পারে। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৬ মে ভোর নাগাদ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাতে পারে।বুধবার ভোরে ইয়াসের চোখ বা কেন্দ্রটি ভারতের উপকূলের কাছে যাবে এবং স্থলভাগে উঠবে। বুধবার সারাদিন তাণ্ডব চালিয়ে এ দিন শেষভাগে এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে।
ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর বঙ্গোপসাগরের কাছে চলে আসায় উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো বাতাসসহ বৃষ্টি হতে পারে দিনে ও রাতের যেকোনো সময়। এ ছাড়া সমুদ্র উত্তাল থাকায় ও আগামীকাল পূর্ণিমা ও চন্দ্রগ্রহণের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার কোথাও কোথাও স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে।