শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা রাজধানী

কারামুক্ত হয়ে রোজিনা ইসলাম বললেন, ‘সাংবাদিকতা চালিয়ে যাবো’



নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৩ মে, ২০২১ ৪:৩৫ : অপরাহ্ণ

পাঁচ দিন কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলাম। আজ রোববার (২৩ মে) বিকেল সোয়া চারটার দিকে তাকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

মুক্তি পাওয়ার পর রোজিনা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাংবাদিকতা চালিয়ে যাবো। সাংবাদিকসহ যারা পাশে ছিলেন, সবাইকে ধন্যবাদ।’

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকি বিল্লাহর আদালত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা দণ্ডবিধি ও অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলায় রোজিনা ইসলামের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিনে শর্ত অনুযায়ী বিচারক রোজিনার পাসপোর্ট আদালতে জমা রাখার আদেশ দেন।

গত বৃহস্পতিবার (২০ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লার ভার্চুয়াল আদালতে তার জামিন শুনানি ‍হয়। ওইদিন জামিন না দিয়ে নথি পর্যালোচনা করে আদেশ দেওয়ার কথা জানান আদালত। তবে আদালত সেদিন তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। রাষ্ট্রপক্ষের তথ্য উপস্থাপন ও জামিন বিষয়ে রোববার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।

গত ১৭ মে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে প্রায় ছয় ঘণ্টা তাকে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রায় ৬ ঘন্টা পর রাত ৯টার দিকে তাকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর হয়।

রোজিনা ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওযার পর সেদিন রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে যেখানে দেখা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক নিম্নপদস্থ নারী তার গলা চেপে ধরেছেন। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে।

রোজিনা ইসলামকে থানায় নিয়ে যাওয়া হলে ১৭ মে রাতেই বিক্ষোভ করতে শুরু করেন সাংবাদিকরা।

রাত পৌনে ১২টার দিকে তার বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধিতে চুরির অভিযোগে এবং ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি সরানো ও অনুমতি না নিয়ে ছবি তোলার অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলার বাদী হন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী।

ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৮ মে রোজিনা ইসলামকে চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে হাজির করা হয়েছিল। পুলিশ তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। রোজিনার আইনজীবীরা তার জামিন চান। আদালত রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আর জামিন আবেদনের ওপর অধিকতর শুনানির জন্য ২০ মে দিন ধার্য  করেন। এই আদেশের পর রোজিনা ইসলামকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়।

২০ মে রোজিনা ইসলামের জামিন আবেদনের ওপর প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ভার্চুয়ালি শুনানি হয়। দুই পক্ষের শুনানি শেষে সেদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ রাষ্ট্রপক্ষের নথি উপস্থাপন ও আদেশের জন্য রোববার (২৩ মে) দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় রোববার সকাল সাড়ে দশটায় ভার্চুয়ালি শুনানি ও আদেশ হয়।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর