নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২১ মে, ২০২১ ৯:১৩ : অপরাহ্ণ
বান্দরবানের লামা উপজেলার চাম্পাতলীতে কুয়েতপ্রবাসী নুর মোহাম্মদের বসতঘর থেকে তার স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২১ মে) রাত সাড়ে ৮টায় নুর মোহাম্মদের স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪০) এবং তার দুই সন্তান রাফি (১৩) ও নুরির (১০ মাস) লাশ উদ্ধার করা হয়।
লামা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রেজওয়ানুল ইসলাম রাজনীতি সংবাদকে জানান, তালাবদ্ধ ঘর থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের গায়ে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। আমরা রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ তিনটি বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সারাদিন প্রতিবেশীরা এই পরিবারের কোনো সড়াশব্দ না পেয়ে রাত সাড়ে ৭টার দিকে তাদের বাসার জানালা দিয়ে দেখে, দুই রুমের বিছানায় আলাদাভাবে তিনজন শুয়া অবস্থায় রয়েছে। পরে রাত ৮টার দিকে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে একে একে এই তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।তাদের বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর অবস্থায় দেখা যায়। বাসার প্রধান দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকার কারনে স্থানীয়রা মনে করেছে, তাদের বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হতে পারে।
এই ব্যাপারে কুয়েত প্রবাসী নুর মোহাম্মদের ভাই আব্দুল খালেক ও শাহ আলম বলেন, বৃহষ্পতিবার নিহত মাজেদা বেগমের বোন বেড়াতে এসেছিল। তারা বিকেলে চলে যাওয়ার পর আজ এই লাশ উদ্ধার হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটতে পারে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রেখে হত্যার আলামত সংগ্রহ করছে।
লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা রশিদ, লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম ও থানার ওসি মিজানুর রহমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।