রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৮ মে, ২০২১ ১:১২ : অপরাহ্ণ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে করোনাকালীন সরকারের দুর্নীতি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি জনগণের সামনে তুলে ধরা ছিল সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের অপরাধ। এজন্যই তাকে ৫ ঘণ্টা আটকে রেখে মানসিক, শারীরিক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’
আজ মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে তার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করার ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে তার মুক্তি এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা কখনো ভাবতে পারিনি একজন সংবাদকর্মীর সঙ্গে এ ধরনের ন্যক্কারজনক কাজ হবে সচিবালয়ের কার্যালয়ে। আজ শুধু রোজিনা নয়, তার মতো অনেক সাংবাদিক সত্য লিখতে ভয় পায়। এ সকল কর্মকাণ্ডের জন্য ধিক্কার জানাই এই সরকারকে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাংবাদিককে হেনস্তা করার বিষয়টি নতুন নয়। এর আগেও অনেক সংবাদকর্মীকে হেনস্তা করা হয়েছে। দেশ ছেড়ে পর্যন্ত চলে যেতে হয়েছে, কারাগারে বন্দি জীবন কাটাতে হয়েছে।’
সাগর-রুনি হত্যা মামলার কোনো বিচার না হওয়া, ফটো সাংবাদিক শহিদুল ইসলামের মিথ্যা মামলাসহ সাংবাদিক নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এসব ঘটনা সরকারের পরিকল্পিত কাজ, যাতে কেউ জাতির সামনে সরকারের অন্যায় ও দুর্নীতি তুলে ধরতে ভয় পায়। সবখানে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে এভাবে দেশে একটা ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ দিন ধরেই বলে আসছি দেশে মানুষের কোনো অধিকার নেই। না আছে সাধারণ নাগরিকদের অধিকার, না আছে রাজনীতিবিদদের অধিকার, না আছে সাংবাদিকদের অধিকার। আর এই অবরুদ্ধকর অবস্থাকে তারা (আ.লীগ) গণতন্ত্র বলে। তারা জানে না গণতন্ত্র কাকে বলে? গণতন্ত্রের মূল বিষয়টি হলো মত প্রকাশের স্বাধীনতা। আর এই মত প্রকাশের মূল মেরুদণ্ড হচ্ছে সংবাদমাধ্যম। কিন্তু গণমাধ্যমকর্মীদের যদি এভাবে হেনস্তা করা হয় তাহলে কী করে দেশে গণতন্ত্র থাকলো?’
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, দফতর সম্পাদক মামুনুর রশিদ, সদর থানার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।