রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৭ মে, ২০২১ ৫:৩২ : অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ সোমবার। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরার দিনটি স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসার পর থেকে অনেক ঝড়-ঝাপটা পার হতে হয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এসেছি ঝড় মাথায় নিয়েই। সেদিন ৬০ মাইল বেগে ঝড় হচ্ছিল, তখন আমি ট্রাকে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায়।’
আজ সোমবার (১৭ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন তিনি।
শেখ হাসিনা স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘খুনি ও যুদ্ধাপরাধী, যাদের বিচার আমার বাবা শুরু করেছিলেন, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তারা তখন ক্ষমতায়। খুনিদের ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে, তারা ক্ষমতায়। ওই অবস্থায় কিন্তু আমি চলে এসেছিলাম, আমি কোনো কিছুই চিন্তা করিনি। এই স্বাধীনতাকে আমার সফল করতেই হবে-এ রকম একটা প্রতিজ্ঞা সবসময় আমার আর রেহানার (প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা) মধ্যে ছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মানুষের জন্যই আমি ফিরে এসেছিলাম। ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর যেখানেই গিয়েছি, মানুষ আমাকে আপন করে নিয়েছে।
এ সময় তিনি সারা দেশের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বাংলাদেশের যে উল্টোযাত্রা শুরু হয়েছিল, সে কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতিহাস একেবারেই মুছে ফেলা হয়েছিল, পুরো পরিবর্তন করা হয়। এখন একটা আত্মবিশ্বাস এসে গেছে যে বাংলাদেশের ইতিহাস আর কেউ কোনো দিন বিকৃত করতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাই হোক, এইটুকু বলতে পারি যে আল্লাহ সব সময় সহযোগিতা করেন এবং আল্লাহ কিছু কাজ দেন মানুষকে। সেই কাজটা যতক্ষণ শেষ না হয়, ততক্ষণ কিন্তু আল্লাহ রক্ষা করেন।’
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের যেদিন হত্যা করা হয়, সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও ছোট বোন শেখ রেহানা।
বিদেশে দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে ভারতের নয়া দিল্লি থেকে দেশে ফেরেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। তার আগেই ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে প্রতিকূল পরিস্থিতি উপেক্ষা করে সেদিন তেজগাঁও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাখো জনতা তাকে স্বাগত জানায়।