নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৩ মে, ২০২১ ৪:৪৫ : অপরাহ্ণ
‘সরকার বাংলাদেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি নেতাদের মুখে এসব কথা শুনলে হাসি পায়।’ তিনি বলেন, ‘সরকার নয়, ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে বিএনপি। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছিল বিএনপি সরকার। ২১ হাজার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছে।’
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব সরকারের সমালোচনার নামে এমন সব বিষয়ে অবতারণা করেন, যার জবাব আওয়ামী লীগকে দিতে হয়। যদিও যা জানতে চাই, তার জবাব তাদের কাছে পাই না। বেগম জিয়ার ভুয়া জন্মদিন নিয়ে জাতির মনে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তার সঠিক জবাব বিএনপির পক্ষ থেকে আজও পাওয়া যায়নি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বেগম জিয়া এখন অসুস্থ। তাই ১৫ আগস্টের মতো নৃশংস হত্যা দিবসে তার ভুয়া জন্মদিন পালনের জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন এটাই মানুষ আশা করেছিল। কিন্তু বিএনপি মহাসচিব তা না করে প্রতিদিনই এক একটি বিষয় নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে আওয়ামী লীগের হাজারও নেতাকর্মীর রক্তে দেশকে মৃত্যু উপত্যকায় বানিয়েছিল। গুম, হত্যা, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের রূপান্তর করেছিলে তারা। মাহিমা, রহিমা, পূর্ণিমাসহ শত শত নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল তা কি ভুলে গেছে বিএনপি? সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ৭১ এর পাক-হানাদারের নির্যাতনকেও হার মানিয়েছিল।’
বিএনপি নেতাদের আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কলঙ্কিত ইতিহাস আর বিকৃত অবয়ব ছাড়া তারা আয়নায় আর কিছুই দেখতে পারবেন না। দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ২৬ মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজত যে ত্রাস ও তাণ্ডব চালিয়েছিল তার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল বিএনপি।’
তিনি বলেন, ‘এর আগেও ভাস্কর্য ইস্যুতেও দেশকে অস্থিতিশীল করতে হেফাজতকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ দিয়েছিল বিএনপি। দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যত প্রয়াস তার সবগুলোর সঙ্গেই তারা জড়িত।’
ঈদকে সামনে রেখে করোনানাকালীন এই সংকটে রাজনৈতিক ব্লেম গেইম থেকে বিরত থাকা সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।