রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১১ মে, ২০২১ ৯:০২ : পূর্বাহ্ণ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২১ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৯ জন শিশুও রয়েছে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ৬৫ জন। স্থানীয় সময় সোমবার (১০ মে) সন্ধ্যার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ ও এর আশপাশের এলাকায় টানা তিন দিন ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় নারী ও শিশুসহ কয়েকশত ফিলিস্তিনি আহত হয়।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এর প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে জেরুজালেমে ইসরায়েলের লক্ষবস্তুতে রকেট হামলা চালায় গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন দল হামাস। এরপর সন্ধ্যার দিকে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এ সময় বিভিন্ন স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস রয়টার্সকে বলেন, গাজা উপত্যকা থেকে ছয়টি রকেট হামলা চালানো হয়। একটি বাড়ি ধসে গেলেও এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে আমরা পাল্টা-হামলা চালাতে শুরু করি। হামাসকে অবশ্যই চড়া মূল্য দিতে হবে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘হামাস সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে। তারা রেডলাইন অতিক্রম করায় ইসরায়েল পাল্টা-জবাব দিতে শুরু করেছে। ইসরায়েল সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে পাল্টা-জবাব দেবে।’
একই দিন আল-আকসা মসজিদ চত্বরে রহস্যজনক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট অগ্নিশিখা এত বড় ও উজ্জ্বল ছিল যে, পূর্ব জেরুজালেমের শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা গেছে সেই আগুনের শিখা। বিস্ফোরণের সময় মসজিদ চত্বরে অবস্থানরত ইসরায়েল পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ আশাপাশের এলাকার অন্তত ৩৩১ জন আহত হয়েছেন।
গত শুক্রবার জুমাতুল বিদার নামাজে অংশ নিতে বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি আল-আকসা মসজিদে সমবেত হলে তাদের সঙ্গে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ফিলিস্তিনি প্রতিবাদকারীরা পাথর নিক্ষেপ করে আর ইসরায়েলি পুলিশ শব্দবোমা ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে অন্তত ৩০০ জন আহত হয়।
এর জেরে ফিলিস্তিনের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হামাস হুমকি দেয় ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন সরকারকে। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১০ মে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে মসজিদ চত্বর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার না করা হলে তার পরিণতির জন্য ইসরায়েল সরকার দায়ী থাকবে।
কিন্তু ইসরায়েলের সরকার এই হুমকিকে আমলে না নেওয়ায় ১০ মে সন্ধ্যার পর গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। হামাস এই হামলা শুরু করার কিছুক্ষণ পরই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।