রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১০ মে, ২০২১ ৮:৪৫ : অপরাহ্ণ
নেপালের সংসদে আস্থা অর্জন করতে পারলেন না প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। আজ সোমবার (১০ মে) আস্থা ভোটে তিনি হেরে যান। ফলে নিয়ম মেনে এবার তাকে পদত্যাগ করতে হবে। দেশের করোনা পরিস্থিতি সামলাতে না পারার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ভোট পড়েছে ৯৩টি, আর বিপক্ষে ১২৪টি ভোট পড়েছে।
নেপালের ২৭১ আসনের সংসদে ২৩২ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সংসদের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ওলি সরকারের প্রয়োজন ছিল ১৩৬ সদস্যের সমর্থন।
রাজতন্ত্র থেকে বেরিয়ে এসে নেপালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে। তার পর থেকে এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রীকে আস্থা ভোটে হারতে হলো।
দায়িত্বে নেওয়ার পর ৩৮ মাস প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন কেপি ওলি।
করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ওলির ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ জমতে থাকে দেশের মানুষের মধ্যে। সেই ক্ষোভের প্রতিফলনই হয় নেপালী সংসদে।
ভোটে হেরে যাওয়ার পর ওলি বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমি দেশের মানুষের স্বার্থেই কাজ করছিলাম। কিন্তু সঙ্কীর্ণ রাজনীতির শিকার হলাম।
এবার তাকে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারির কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠাতে হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলেছে, প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী পার্লামেন্ট প্রলম্বিত করেছেন।
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, ক্ষমতাসীন দলের বিক্ষুব্ধ সদস্যরা দলীয় হুইপকে অস্বীকার করেন ও ভোটদানে বিরত ছিলেন। এর ফলে তাদের সংসদ সদস্যপদ চলে যেতে পারে। এতে দেশটিতে আগাম নির্বাচনের আয়োজন করতে হতে পারে।