নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৯ মে, ২০২১ ১০:৩৮ : অপরাহ্ণ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য দলটির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে সরকার অনুমতি না দেওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ ও হতাশ। খালেদা জিয়া সরকারের ‘প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির শিকার’ বলে তিনি মনে করেন।
রোববার (৯ মে) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরার তিনশত ফুট রাস্তা সংলগ্ন এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে তার পরিবারকে অনুমতি দেয়নি সরকার। খালেদা জিয়ার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ নেই বলে আজ মতামত দিয়েছে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে ধারায় বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা স্থগিত করা হয়েছে, ওই ধারাতেই বিদেশে যাওয়া কিংবা একেবারে সাজা মওকুফ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তারা বলছে, দণ্ডপ্রাপ্তদের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই। কিন্ত তারা তো অসংখ্য নজির সৃষ্টি করেছে। তারা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনের আসামিকে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে পারেন, মাফ করে দিতে পারেন, কিন্ত একজন জনপ্রিয় নেত্রীর জন্য কোনো মানবতা কাজ করে না। তাদের কোনো শিষ্টাচার কাজ করে না।’
সরকারের এ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় করে দেয়া উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের ধারাবাহিকতায় এ সরকারও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চান। প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি চরিতার্থ করতেই সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি রাজনীতির শিকার। রাজনীতির শিকার হয়েই কারাগারে আছেন।’
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার অনুমতি না দেওয়ায় এখন আপনাদের পদক্ষেপ কি-এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার আবেদন বিএনপি করেনি, আবেদন করেছে তার পরিবার। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে সেটা তার পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে।’
খালেদার জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করেছি। ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি এখন অক্সিজেন ছাড়াই স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারছেন। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি হাসপাতালে যে চিকিৎসা নিচ্ছেন, ডাক্তাররা বলেছেন, তাদের চিকিৎসাটা যথেষ্ট নয়। আর করোনা পরবর্তী ম্যাডামের যে জটিলতা দেখা দিয়েছে সেটা সুবিধার নয়।’
এর আগে মির্জা ফখরুল এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে যান এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।