নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৯ মে, ২০২১ ৪:১০ : অপরাহ্ণ
আইন মন্ত্রণালয় অনুমতি না দেওয়ায় চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আবেদনসংক্রান্ত ফাইলে এমন মতামত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদন মঞ্জুর করা হয়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতে বলা হয়েছে, ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ ধারার অধীনে খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দেয়ার কোন সুযোগ নেই। আইনমন্ত্রী তার মতামতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন। এছাড়া সাজাপ্রাপ্ত করো বিদেশে চিকিৎসার নজির নেই বলেও মতামতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে আজ রোববার (৯ মে) সকালে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তবে শনিবার (৮ মে) খালেদা জিয়ার তৃতীয় দফার নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস নেগেটিভ ফলাফল এসেছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে গত ২৭ এপ্রিল পরীক্ষার জন্য রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ৩ মে তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিয়ে যাওয়া হয়। এখনো তিনি সিসিইউতেই আছেন।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা করাতে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে গত ৫ মে রাতে সরকারের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই লিখিত আবেদন জমা দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবেদনটির আইনি দিক পর্যালোচনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই আবেদনটিকে সরকার ইতিবাচকভাবেই দেখছে।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলো সরকার তাতে বলা হয়েছিলো মুক্তি পেয়ে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর বাসাতেই থাকতে হবে এবং এ সময় তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পেয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এরপর প্রথমে সেপ্টেম্বরে ও পরে চলতি বছরের মার্চে আবারো ছয় মাসের জন্য তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।