নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৮ মে, ২০২১ ৪:৩০ : অপরাহ্ণ
সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘৭ মার্চের ভাষণের স্থান ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ করার স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি হয়ে এই উদ্যানের অধিকাংশ জায়গা জুড়ে শিশু পার্ক করেছিলো।’ পরিবেশবাদীরা তখন প্রশ্ন তোলেন নাই কেন তা জানতে চেয়ে তিনি বলেন, ‘কারো মুখে একটা কথাও সেদিন আমরা শুনতে পায়নি। তখন সৌন্দর্য বর্ধনের নামে এই ঢাকা শহরে রাস্তার পাশ থেকে কত সুন্দর সুন্দর গাছ কেটে ফেলা হয়েছিলো, উজাড় করে ফেলা হয়েছিলো এই নগরীর সৌন্দর্য।’
আজ শনিবার (৮ মে) সকালে নিজের সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এসব বলেন।
উল্লেখ্য, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণের (তৃতীয় পর্যায়) জন্য গাছ কাটা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সরকারের সমালোচনা করছেন পরিবেশবাদীরা। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো গাছ রক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচিও দিচ্ছেন।
রেসকোর্স ময়দানে প্রথম গাছ লাগিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটিকে উদ্যান হিসেবে বঙ্গবন্ধুই সৃষ্টি করেছিলেন। এ কাজগুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই। সরকার যথেষ্ট সজাগ রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।’
সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে পরিবহন ও যাত্রীদের চাপ থাকায় ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে চাপ বেড়ে যায়,তাই ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি সমন্বয় করে জনভোগান্তি লাঘবে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্ষার আগেই রাস্তা মেরামতের কাজগুলো করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চলমান গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শেষ করতে হবে।’
পুরাতন কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোন প্রকল্প হাতে না নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টের নির্দেশনা দেন তিনি।
বিআরটিসিকে লাভের ধারায় ফিরে আসতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বারবার লোকসানের কথা আর শুনতে চাই না।’
বিআরটিসির কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন তিনি।
গত কয়দিনে ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে, শপিংমল মার্কেটগুলোতেও একই অবস্থা। এ ধরণের পরিস্থিতি গত কয়দিনে করোনা সংক্রমণ হারের যে নিম্নমুখী প্রবণতাকে আবারো বাড়িয়ে দিতে পারে। জীবনের পরে জীবিকা, এই মূহুর্তে বেঁচে থাকাটাই জরুরি। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক আনন্দ উৎসব করা যাবে, কাজেই এবার অন্তত সকলে মিলে ত্যাগ স্বীকার করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে যার যার অবস্থানে থেকে ঈদ উদযাপন করি। আসুন সকলে মিলে প্রাণঘাতী এই করোনাকে প্রতিরোধ করি।’