রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩ মে, ২০২১ ১২:০৪ : অপরাহ্ণ
পদ্মা নদীতে একটি স্পিডবোট দুর্ঘটনার পর তিন শিশুসহ অন্তত ২৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েকজন। ৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ মে) মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় বাংলাবাজার ফেরিঘাট সংলগ্ন কাঁঠালবাড়ি ঘাট এলাকায় সকাল সাতটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। মরদেহগুলো পুরান কাঁঠালবাড়ি ঘাটে রাখা হয়েছে।
খবর পেয়ে শিবচর ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
নৌ-পুলিশের কাঁঠালবাড়ি ঘাট ইন-চার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট বাংলাবাজারের দিকে যাচ্ছিল। কাঁঠালবাড়ি (পুরাতন ফেরিঘাট) ঘাটের কাছে পৌঁছালে স্পিডবোটটি নোঙর করা বালু বোঝাই একটি বাল্কহেডের (ছোট আকারের মালবাহী জাহাজ) পেছনে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এ সময় কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠলেও বেশিরভাগ যাত্রীই নিখোঁজ হয়। তীরের কাছাকাছি হওয়ায় দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার কাজ শুরু করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে নৌপুলিশ। পরে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ড সদর দফতরের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার আমিরুল হক গণমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি ওই স্পিডবোটে যাত্রী ছিল ৪০ জন। ঘটনাস্থলে আমাদের ডুবুরি দল কাজ করছে। প্রয়োজনে আরও দক্ষ উদ্ধারকারী টিম পাঠানো হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে এখন যে লকডাউন চলছে, তার অংশ হিসেবে এই স্পিডবোট সার্ভিস বন্ধ থাকবার কথা।
নৌ-পুলিশের কাঁঠালবাড়ি ঘাট ইন-চার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এরা অবৈধভাবে চুরি করে যাত্রী পরিবহন করে। এটাও মাওয়া থেকে সেভাবে যাত্রী আনছিল বলে ধারণা করছি।’
৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় বাংলাবাজার ফেরিঘাটে বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।