রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২ মে, ২০২১ ৮:০০ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মবিরতি কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
আজ রোববার (২ মে) সকালে চমেক হাসপাতাল পরিচালকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তিন দফা দাবি দিয়ে তাদের কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা দেন।
তিন দফা দাবি হলো-মামলার সকল আসামিকে গ্রেপ্তার, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৬ ছাত্রকে বহিস্কার এবং ক্যাম্পাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তিনদিনের মধ্যে এ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে তারা আবার কর্মবিরতি শুরু করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গেল মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে চমেক ক্যাম্পাসে প্রথমে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে ক্যাম্পাসে বহিরাগত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালায়। এতে তিন ইন্টার্ন চিকিৎসক আহত হয়। এ ঘটনার জেরে চমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করে।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে (২৮ এপ্রিল) নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেন ডা. হাবীবুর রহমান নামের এক ইন্টার্ন চিকিৎসক। মামলায় চমেক ছাত্রলীগ নেতা অভিজিৎ দাশ ও চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়। চমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এসব ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।
সংঘর্ষে লিপ্ত অপর পক্ষের নেতা-কর্মীরা হলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। বৃহস্পতিবার রাতে নওফেলের অনুসারী চমেক ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজুল ইসলাম জয় বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা ঠুকে দেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দায়ের করা মামলায় পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার রাজনীতি সংবাদকে বলেন, সবকিছুর একটা আইনি প্রক্রিয়া আছে, যা তাদের (ইন্টার্ন চিকিৎসক) বুঝা উচিত। তারা যেসব ছাত্রদের বহিস্কারের দাবি জানিয়েছে সেটার জন্য একটা তদন্ক কমিটি হয়েছে। তদন্তের পর কলেজের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হবে। এরপর সিদ্ধান্ত হবে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ডা. উসমান গণি রাজনীতি সংবাদকে বলেন, বৈঠকে চমেক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আমাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য তিন দিনের সময় বেধে দিয়েছি। এর মধ্যে যদি দাবি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে আমরা আবার কর্মবিরতিতে যাবো।