নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২ মে, ২০২১ ১:২৫ : অপরাহ্ণ
স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। আজ রোববার (২ মে) সকাল থেকে দেশের সব টার্মিনালে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও গাবতলী বাস টার্মিনালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। সমাবেশ শেষে তারা গাবতলী ও এর আশপাশ এলাকায় মিছিল করেন।
ঢাকা মহানগর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা ও নগর বাস টার্মিনাল শ্রমিক কমিটি। বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক অংশ নেন। এসময় শ্রমিকদের হাতে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন দেখা গেছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা জেলা বাস মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন (মহাখালী) সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক বলেন, লকডাউন বা বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হলেও একমাত্র পরিবহন ছাড়া সব কিছুই চলছে। এদিকে পরিবহন শ্রমিকরা কাজ না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা চাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে। আমাদের এই সুযোগ করে দেন, আমরা খেয়ে পরে পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁচতে চাই।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত সারা দেশে ২৪৯টি পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন এ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে৷
আন্দোলন কর্মসূচি আহ্বানকারী সংগঠনের নেতারা বলছেন, সরকার শুধুই আশ্বাস দিচ্ছে, বাস্তবায়ন করছে না। ফলে তারা কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছে।
পরিবহন শ্রমিকদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে নৌ-পরিবহন ও পণ্য পরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করা, সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া এবং সারাদেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএসের চাল বিক্রির ব্যবস্থা করা।
মঙ্গলবার (৪ মে) সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার কথা রয়েছে পরিবহন শ্রমিকদের৷
এদিকে গত শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ঈদ সামনে রেখে গণপরিবহন চালু করার বিষয়ে সরকার চিন্তা ভাবনা করছে।
এর আগে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
সংগঠনটির ভাষ্য, করোনা মহামারিতে সবকিছু চালু থাকলেও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে ৫০ শতাংশ পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।