নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২৮ এপ্রিল, ২০২১ ১২:২২ : পূর্বাহ্ণ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য দ্বিতীয় দফায় তাকে রাজধানীর এই হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুবউদ্দিন খোকন।।
হাসপাতালের একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, সিটি স্ক্যানের রিপোর্টে দেখা গেছে, বেগম জিয়ার ফুসফুসে সংক্রমণ বেড়েছে। এই কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে রাত ১০টায় হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে।
হাসপাতালে উপস্থিত রয়েছেন-চিকিৎসক টিমের সদস্য অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং ডা. মোহাম্মদ আল মামুন। এছাড়াও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সেখানে উপস্থিত আছেন।
গত ১৫ এপ্রিল রাতে সিটি স্ক্যান করাতে খালেদা জিয়াকে একই হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন সিটি স্ক্যানের প্রতিবেদনে খালেদা জিয়ার ফুসফুসে ন্যূনতম সংক্রমণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিলেন তার চিকিৎসকেরা।
গত ১০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরদিন ১১ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ সনাক্ত হয়। খালেদা জিয়া ছাড়াও তার গৃহকর্মী ফাতেমাসহ বাসার মোট নয়জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
খালেদা জিয়ার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পর অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকীরে নেতৃত্বে গুলশানের ‘ফিরোজা’র বাসায় তার চিকিৎসা শুরু হয়।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার পর তাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। কিছুদিন পর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই বছরের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে গত বছরের ২৫ মার্চ পরিবারের আবেদনে তাকে শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জামিনে মুক্তি দেয় সরকার, যা তিন দফায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুধুমাত্র তার পরিবারের সদস্য ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছাড়া অন্য কেউ দেখা করতে পারেন না। ৭৬ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী অস্টিও আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন।