রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ২৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা চট্ট-মেট্টো

কারণ না জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের কমিটি ভেঙ্গে দিলেন বাবুনগরী


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৫ এপ্রিল, ২০২১ ১১:৩০ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

কওমি আকিদা ভিত্তিক অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে দিয়েছেন সংগঠনটির আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। রোববার (২৫ এপ্রিল) রাত ১১টায় ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এ ঘোষণা দেন।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর হাটহাজারী দারুল উলূম মাদ্রাসায় সম্মেলনের মাধ্যমে জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির ও নূর হোসাইন কাসেমীকে মহাসচিব করে হেফাজতে ইসলামের ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফির মৃত্যুর পর নতুন এ কমিটি করেছিল হেফাজত। এরপর ১৩ ডিসেম্বর মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী মারা গেলে নায়েবে আমির আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদীকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব দিয়েছিল হেফাজত।

পাঁচ মাসের মাথায় এই কমিটি ভেঙ্গে দিলেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। তবে কী কারণে কমিটি ভেঙ্গে দিয়েছেন তা তিনি তার বক্তব্যে বলেননি।

জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতের ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শক্রমে বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। ইনশাআল্লাহ, আগামীতে আহ্বায়ক কমিটির মাধমে আবার হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম শুরু হবে।

গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। সেই বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়। ওই সংঘাতে প্রাণ হারান অন্তত ১৮ জন। বিক্ষোভ–সহিংসতার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন জেলায় হেফাজতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৭৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৬৯ হাজারের বেশি জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত হেফাজতের কেন্দ্রীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ১৯ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ জনতার হাতে ধরা পড়েন। এতে নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়ে হেফাজত।

সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে কোণঠাসা হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা শুরু থেকেই সমঝোতার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা গোয়েন্দা সংস্থা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

গত সপ্তাহে হেফাজত ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাসায় দেখা করে দলের নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক হেফাজতের কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা দিলেন সংগঠনের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর