শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা চট্ট-মেট্টো

হেফাজত নেতা জাকারিয়া নোমানকে ধরতে র‌্যাব-পুলিশের নিস্ফল অভিযান



রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৪ এপ্রিল, ২০২১ ৩:৩০ : অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের হাটহাজারী জামিয়া হামিউস সুন্নাহ মেখল মাদ্রাসায় গতরাত (শুক্রবার) সাড়ে ১২টার দিকে নিস্ফল অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব-পুলিশ। এই কওমি মাদ্রাসায় এক ঘন্টা ধরে অভিযান চালিয়ে হেফাজতের কোনো নেতা-কর্মীকে খুঁজে পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান এই মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গ্রেপ্তার করতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে অভিযান চালায়।

হাটহাজারী মেখল মাদ্রাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই অভিযানের একটি ভিডিও ফুটেজ গতরাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ফুটেজে দেখা যায়, র্যাব ও পুলিশের অন্তত ১০টি গাড়ি মেখল মাদ্রাসার সামনে অবস্থান করে।

জাকারিয়া নোমান গতরাতে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়ে জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় দেড় শতাধিক সদস্য মাদ্রাসা গেইটের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। তারা মাদ্রাসায় বহিরাগত লোক রয়েছে বলে অভিযোগ করে তল্লাশি করেন। এ সময় মাদ্রাসার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। মাদ্রাসায় কাউকে না পেয়ে রোকন নামে আমার ব্যক্তিগত গাড়ি চালককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে জানতে র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েলের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভি করেননি।

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম রশিদুল হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে হেফাজত নেতাদের তাদের বাসা কিংবা মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু হাটহাজারী মেখল মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমানকে ধরতে নিষ্ফল অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব-পুলিশ।

হেফাজতের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, মেখল মাদ্রাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের সময় সেখানে ছিলেন না জাকারিয়া নোমান। তিনি গত এক সপ্তাহ ধরে আত্মগোপনে আছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার পুলিশ হেফাজতে ইসলামের তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে। এরা হলেন- যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি নূর হোসাইন নূরানী ও ঢাকা মহানগর নেতা মাওলানা সানাউল্লাহ। বুধবার গ্রেপ্তার হন হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব খুরশিদ আলম কাসেমী।

গত এক সপ্তাহে পুরাতন ও নতুন মামলায় হেফাজতে ইসলামের অন্তত ১৯ শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর