নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২৪ এপ্রিল, ২০২১ ৪:০০ : অপরাহ্ণ
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেক বিলম্বে এসেছে। সরকার আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের অনেক সময় পেয়েছিল। কিন্তু তারা তা করেনি। সরকার এ সময় শতবার্ষিকী উদযাপনসহ নানা জনাকীর্ণ অনুষ্ঠানমালা নিয়ে ব্যস্ত ছিল।’
আজ শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ও সুপরিকল্পিত নীতি প্রণয়ন না করার কারণে বিভিন্ন সময় যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা ইতিমধ্যে অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। চলমান ‘লকডাউনের নামে শাটডাউন’ অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের সর্বশেষ উদাহরণ। এবারকার লকডাউনে মানুষের দুরবস্থা চরম আকার ধারণ করেছে। এর মূলে দুটি কারণ, একটি রাজনৈতিক, অন্যটি অর্থনৈতিক।’
করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণে প্রতিবেশী দেশ ভারতে একটি মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারতের স্থলপথে যে সীমান্ত আছে, সেগুলো বন্ধ করা দরকার।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘করোনার টিকা সংগ্রহে স্বেচ্ছাচারিতা ও নতুন অনিশ্চয়তার সংবাদ আবারো সমগ্র জাতিকে গভীর হতাশা ও দুশ্চিন্তায় নিমজ্জিত করেছে। প্রথম থেকেই ভারতের বিকল্প সূত্র থেকেও টিকা কেনার পরিকল্পনা নিলে আজ এ নিদারুণ অনিশ্চয়তায় পড়তে হতো না। আমরা প্রথম থেকেই এ কথাই বলে আসছিলাম। অবিলম্বে অন্য সূত্র থেকে পর্যাপ্ত টিকা সংগ্রহের দাবি জানাচ্ছি।’
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘লকডাউনের নামে মূলত সরকার বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনকারী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন ঘোষণা করেছে। লকডাউনের শুরুর দিন থেকেই সারা দেশে ব্যাপকভাবে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দেশের প্রখ্যাত আলেম-ওলামাসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের শত শত নেতা-কর্মীকে নির্বিচারে গ্রেফতার ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে।’