নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২২ এপ্রিল, ২০২১ ৯:৩৫ : অপরাহ্ণ
লকডাউন চলাকালে গত রোববার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে এক চিকিৎসকের পরিচয়পত্র দেখা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার সময় সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দায়িত্বপালনকারী ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. মামুনুর রশীদকে বরিশাল বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব শেখ ইউসুফ হারুন একটি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত রোববার এলিফ্যান্ট রোডে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় নিরাপত্তাচৌকিতে দায়িত্ব পালনরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী চিকিৎসকের গাড়ি আটকে পরিচয়পত্র দেখতে চান। ওই চিকিৎসক নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন।
ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে ধারণ করা এ ঘটনার একটি ভিডিও দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার সময় পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে চিকিৎসকের উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা হয়। ওই চিকিৎসককে উত্তেজিত ভঙ্গিতে কথা বলতে শোনা যায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ জানিয়ে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন (বিডিএফ) এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
চিকিৎসকদের দাবি, চিকিৎসককে ইচ্ছা করে হয়রানি করা হয়েছে। তার গাড়িতে লকডাউনের সময় হাসপাতালে কাজ করার আদেশনামা ছিল, পরনে অ্যাপ্রোন ছিল এবং গাড়িতে হাসপাতালের স্টিকার লাগানো ছিল। আর পুলিশের পক্ষের দাবি, চিকিৎসক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশকে ‘তুই’ বলে সম্বোধন করেছেন এবং গালি দিয়েছেন। তিনি নিজ মন্ত্রণালয়ের বৈধ আদেশ লঙ্ঘন এবং ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানানো হয় পুলিশের বিবৃতিতে।
এই ঘটনার পর চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে এলিফ্যান্ট রোডে চিকিৎসককে হেনস্তায় জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছিল।
ওই দিনের ঘটনার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংবাদ ব্রিফিংয়ে চিকিৎসকদের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। চেকপোস্টে ‘চাহিবামাত্র তা প্রদর্শনেরও’ অনুরোধ করেছে।