রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২১ এপ্রিল, ২০২১ ১২:৩৩ : অপরাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় সব অভিযোগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাউভিন। তার বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগ হলো—সেকেন্ড ডিগ্রি অনিচ্ছাকৃত হত্যা, থার্ড ডিগ্রি হত্যা ও সেকেন্ড ডিগ্রি নরহত্যা।
সেকেন্ড ডিগ্রি অনিচ্ছাকৃত হত্যার জন্য সর্বাধিক ৪০ বছর, থার্ড ডিগ্রি হত্যার জন্য সর্বাধিক ২৫ বছর ও সেকেন্ড ডিগ্রি নরহত্যার জন্য সর্বাধিক ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ হতে পারে চাউভিনের। শাস্তি দেওয়ার আগ পর্যন্ত চাউভিন কারাগারে থাকবেন। আদালত জানিয়েছেন, পরবর্তী আট সপ্তাহের মধ্যে চাউভিনের কারাদণ্ডাদেশ ঘোষণা করা হবে।
গত বছর মিনিয়াপোলিসের রাস্তায় নির্মমভাবে গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করে চাওভিন। ওই সময় ‘আই ক্যান্ট ব্রিথ’ বলে আর্তচিৎকার করতে থাকেন ফ্লয়েড। কিন্তু নিষ্ঠুরতার চরম শিখরে পৌঁছে যায় চাওভিন ও তার সহযোগীরা। তাদের অত্যাচারে সেখানেই মারা যান ফ্লয়েড। এর প্রতিবাদে পুরো যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে।
এক ভিডিওতে দেখা যায়, গত বছর মে মাসে ফ্লয়েডকে গ্রেফতারের সময় তার গলার উপর ৯ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে হাঁটু গেড়ে বসেছিলেন ৪৫ বছর বয়সী পুলিশ অফিসার ডেরেক চাওভিন।
এ ঘটনায় নিরস্ত্র ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু রাখা ৪৪ বছর বয়সী পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাউভিনসহ চারজন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়। সেই সঙ্গে ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগে চাউভিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
এ ঘটনায় চাওভিনকে তিনটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়: সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার, থার্ড ডিগ্রি মার্ডার এবং নরহত্যা। শাস্তি ঘোষণা না করা পর্যন্ত তিনি পুলিশি হেফাজতে থাকবেন।
সাজা হিসেবে কয়েক দশক জেল হতে পারে তার। এই রায়ে পৌঁছাতে ১২ সদস্যের বিচারকের প্যানেল পুরো একদিন সময় নেন। এর আগে তিন সপ্তাহ ধরে বিচার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। রায় ঘোষণার পর উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আদালতের বাইরে জড়ো হওয়া কয়েক শত মানুষ রায়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
সূত্র: সিএনএন ও বিবিসি