নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২১ এপ্রিল, ২০২১ ১:৫৪ : অপরাহ্ণ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বর্ধিত সাত দিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ প্রথম দিনে আজ বুধবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীতে মানুষ ও যানবাহনের চলাচল বেড়েছে। দিন যতই যাচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন যেন ততই শিথিল হয়ে পড়ছে। প্রথম সাত দিনের লকডাউনে শুরুর দিকে রাজধানীর সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কম থাকলেও এখন বাস ছাড়া সব ধরনের পরিবহনই দেখা যাচ্ছে। একইসঙ্গে সড়কে বেড়েছে সাধারণ মানুষের চলাচল। গত কয়েকদিনে পুলিশের চেকপোস্টে কড়াকড়ি দেখা গেলেও আজ ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে।
সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, গাবতলী, শ্যামলী, আসাদগেট, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ধানমন্ডি, মালিবাগ, মগবাজার, কাকরাইল ও পল্টন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে প্রাইভেট গাড়ি, রিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেলের চাপ ছিলো বেশি। আর সড়কে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
অধিকাংশ চেকপোস্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে। অনেক চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি।
কারওয়ান বাজারের একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, লকডাউনে রাস্তায় চলাচলে বিধিনিষেধ থাকলেও অনেকে বিনা প্রয়োজনেও রাস্তায় বের হচ্ছেন। আমরা এমন ক্ষেত্রে জরিমানা করছি। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছেন। তবে জরুরি সেবায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা অবাধে চলাচল করতে পারছেন।
চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেও যেসব অফিস খোলা রয়েছে সকাল থেকেই দেখা গেছে সেসব অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রিকশা, প্রাইভেট কার ও চুক্তিভিত্তিক মোটর সাইকেলে করে কর্মস্থলে যাচ্ছেন।
প্রধান সড়কের মতো একই চিত্র আবাসিক এলাকাগুলোর অলিতে-গলিতে। যে যার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। চায়ের দোকান, হোটেল খোলা। অনেকেই আড্ডা দিচ্ছেন। আবার অনেকে মাস্ক ছাড়া দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। গলির দুই পাশে সবজি, ফলসহ ভাসমান বিক্রেতারা সারাদিন বসে থাকেন পসরা সাজিয়ে। ফলে সেখানেও ভিড়। এসব দোকানেও উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি।
মগবাজারে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা আমান উল্লাহ নামের একজন পথচারী রাজনীতি সংবাদকে বলেন, এটা কি লকডাউন? সড়কে দেখেন কতো গাড়ি চলছে। পুলিশের কোনো বাধা দিচ্ছে না। গরীব মানুষের রোজগারের ব্যবস্থা না করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পেটের দায়ে গরীব মানুষগুলো সড়কে নামছে। তাই পুলিশ কিছুই করতে পারছে না।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু হঠাৎ উর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণে প্রথম দফায় ৫ এপ্রিল সাত দিনের লকডাউন দেওয়া হয়। ঢিলেঢালাভাবে পালিত সেই লকডাউনের মধ্যেই ১৪ এপ্রিল থেকে আবার সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হয়। গতকাল শেষ হওয়া সেই সর্বাত্মক লকডাউন আবার বর্ধিত করা হয় আরও এক সপ্তাহের জন্য।